সমীরণ রায়: [২] ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) ৫ টি ওয়ার্ডে রোববার সকাল থেকে মশক নিধনে বিশেষ চিরুনি অভিযানকালে ৫টি অঞ্চলে মোট ১৭৪৮টি বাড়ি, স্থাপনা, নির্মাণাধীন ভবন ইত্যাদি পরিদর্শন করা হয়। এসময়ে বিভিন্ন বাড়ি, প্রতিষ্ঠান, স্থাপনায় ও পরিত্যক্ত জায়গায় এডিসের লার্ভা পাওয়া যাওয়ায় ৯টি মামলায় মোট ৪৬ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
[৩] অঞ্চল-১ (উত্তরা) এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা জুলকার নায়ন, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আনোয়রুল হালিম ও রোসলিনা পারভীনের নেতৃত্বে উত্তরা ৯ নম্বর সেক্টরে মোট ৭৪৮টি নির্মাণাধীন বাড়ি ও প্রতিষ্ঠানে অভিযানে এডিস মশার লার্ভা পাওয়ায় ৯ হাজার টাকা জরিমানা করা হয় এবং এডিস মশার প্রজননস্থলসমূহে কীটনাশক স্প্রে করা হয়।
[৪] অঞ্চল-২ (মিরপুর-২) এর ৬ নং ওয়ার্ডের মিরপুর সেকশন ৬ ব্লক-সি এর রোড ১-২০ এলাকার ৪৪৩টি বাড়ি ও স্থাপনায় অভিযান চালিয়ে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যাওয়ায় ৬টি ভবনে নোটিশ এবং অন্যদেরকে সতর্ক করা হয়। এছাড়া ২টি মামলায় ২জনকে ৭হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
[৫] অঞ্চল-৩ (মহাখালী) এর ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের শাহজাদপুর এলাকায় ১৭০টি বাড়ি, স্থাপনা ও নির্মাণাধীন ভবনে অভিযান চালিয়ে ১১টি বাড়ি, স্থাপনায় এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায়। এতে ৪টি মামলায় ৩০হাজার টাকা জরিমানা করা হয় এবংউক্ত সকল এডিস মশার প্রজননস্থলসমূহ ধবংস করা হয়।
[৬] অঞ্চল-৪ (মিরপুর-১০) এর ১২ নম্বর ওয়ার্ডের কলাউড়া পাড়া ও শাহ আলীবাগ এলাকায় ৩১০টি নির্মাণাধীন ভবন ও স্থাপনায় চিরুনি অভিযান চালানো হয় । এসময়ে ৩টি বাড়িতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া গেলে তাদেরকে সতর্ক করে সেসব স্থানে কীটনাশক স্প্রে করা হয় তবে কোন জরিমানা করা হয়নি।
[৭] অঞ্চল-৫ (কারওয়ান বাজার) এর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বেলায়েত হোসেনের নেতৃত্বে চিরুনি অভিযান পরিচালিত হয় মোহাম্মদপুরের আসাদগেইট এলাকায়। এসময়ে মোট ৬৬টি নির্মাণাধীন ভবন ও স্থাপনা পরিদর্শন করে মোট ৫টি স্পটে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায়। তাদেরকে পরবর্তীতে সতর্ক থাকার নির্দেশ প্রদান ও উক্ত স্পটসমূহ ধবংসপূর্বক কীটনাশক প্রয়োগ করা হয়েছে।
[৮] অঞ্চল-৯ ভাটারা, সুতিভোলা, নূরেরচালা এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন ডিএনসিসির প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা আব্দুল হামিদ মিয়া। এসময়ে তিনি ১১টি নির্মাণাধীন ভবন ও স্থাপনা পরিদর্শন করেন। বাসা বাড়িতে অপরিচ্ছন্ন পরিবেশ ও ময়লা আবর্জনা থাকায় কয়েকজনকে সতর্ক করা হয়েছে এবং এডিস মশার সম্ভাব্য প্রজননস্থথলসমূহ ধবংসপূর্বক কীটনাশক প্রয়োগ করা হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :