সুজিৎ নন্দী: [২] পাঁচ বছর দায়িত্ব পালনের পর শনিবার বিদায় নেয়া ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র সাঈদ খোকন জানালেন তার প্রায় অর্ধশত অর্জন।
[৩] উল্লেখ করেন, ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া প্রতিরোধ, ‘জল সবুজে ঢাকা’ প্রকল্প অন্যতম। পুরো দক্ষিণকে এই প্রকল্পের আওতায় ১৯টি পার্ক ও ১২টি খেলার মাঠকে বদলে দিয়েছেন। নগরীর সড়কের ওপর ঝুঁকিপ‚র্ণভাবে দাঁড়িয়ে থাকা বিলবোর্ডগুলো অপসারণ করে সেখানে বিভিন্ন আকারের ৭৩০টি এলইডি বিলবোর্ড লাগানো হয়েছে। পুরো দক্ষিণ এলইডি স্থাপন করা হয়েছে।
[৪] পার্কগুলো বিশ্বমানের করে তৈরি করা হয়েছে। এতে সব শ্রেণির মানুষের জন্য সুবিধা রয়েছে। আমাদের কয়েকটি পার্ক আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমেও আলোচিত হয়েছে। ইতোমধ্যে ২০টির বেশি পার্ক উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে। কিছু জটিলতার কারণে কিছুটা সময় লেগেছে।
[৫] সব মিলিয়ে ৪৩টি আধুনিক গণশৌচাগার বা পাবলিক টয়লেট নির্মাণ করা হয়েছে। টয়লেটগুলোতে নারী ও পুরুষদের জন্য আলাদা চেম্বার, সিসি ক্যামেরাসহ পেশাদার পরিচ্ছন্নতাকর্মী ও নারী কেয়ারটেকারের ব্যবস্থা রয়েছে। প্রতিবন্ধীদের জন্য রয়েছে বিশেষ ব্যবস্থা।
[৬] ৪০টি যাত্রী ছাউনি নির্মাণ করা হয়েছে। পাশাপাশি ট্রাফিক পুলিশের কথা চিন্তা করে নগরীর গুরুত্বপ‚র্ণ মোড়ে ৫৫টি স্বচ্ছ ট্রাফিক পুলিশ বক্সও নির্মাণ এবং যানজট নিরসনে ৪টি ইন্টারসেকশন ও ৩০টি বাস স্টপেজ নির্মাণ করা হয়েছে। আজিমপুর কবরস্থানের উন্নয়নের পাশাপাশি একটি আধুনিক মসজিদ নির্মাণ করা হয়েছে। এছাড়া আজিমপুর, জুরাইন ও মুরাদপুর কবরস্থানের আধুনিকায়ন করা হয়েছে।
[৭] সাঈদ খোকন বলেন, কখনও অবহেলা করিনি। নগরবাসীর জন্য যা যা করা দরকার তাই করেছি। নাগরিকদের অন্যতম চাহিদাগুলো প‚রণ করতে সক্ষম হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :