বরিশাল প্রতিনিধি: [২] ঈদ—উল ফিতরকে সামনে রেখে দোকান মালিক ও ক্রেতারা সরকারের দেয়া শর্ত স্বাস্থ্যবিধি মানছেন না। ফলে স্বাস্থ্যবিধি না মেনে একই পরিবারের একাধিক সদস্য নিয়ে ঈদের কেনাকাটা করতে আসছে মার্কেটে। আর এতে ভ্রাম্যমাণ আদালত করছেন জেল জারিমানও।
[৩] অপরদিকে সরকারি নির্দেশনা যথাযথভাবে পালন করতে গিয়ে একটি বিশেষ সুবিধাভোগি মহলের রোষানলে পরে কাজের আগ্রহ হারিয়ে ফেলছেন তৃণমূলের প্রকৃত করোনা যোদ্ধা পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা।
[৪] খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বরিশাল নগরীর কাপড় ও পোশাক ব্যবসার প্রধান কেন্দ্র চকবাজারের ব্যবসায়ীরা প্রথমে দোকান খোলার সিদ্ধান্ত নিলেও পরবর্তীতে সরকারের নির্দেশনা মেনে চলা সম্ভব হবে না বুঝতে পেয়ে সে সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসেন। এরপরেও অতি মুনাফালোভী দোকানের ব্যবসায়ীরা বড় বড় দোকানগুলো বন্ধ থাকার সুযোগ নিয়ে কাপড় ও পোষাক বিক্রি শুরু করেছেন। এছাড়াও চকবাজারের কয়েকজন বড় ব্যবসায়ী নিজেদের কর্মচারীদের দিয়ে কৌশলে ফুটপাতে পসরা সাজিয়ে বসেছেন। অন্যদিকে নিজেদের বা পরিবারের সদস্যদের ভবিষ্যৎ চিন্তা না করেই সরকারের সুযোগের অপব্যবহার করছেন প্রায় একমাস গৃহবন্দী থাকা নারীরা।
[৫] সূত্রমতে, চকবাজার ব্যবসায়ী মালিক কল্যাণ সমিতি সদস্যরা বিসিসি মেয়রের আহবানে দোকান—ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার বিষয়ে সারাদিয়ে দোকান খোলার সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসার পরেও সেই মালিক সমিতির অধিকাংশ সদস্যরা তাদের নেয়া সিদ্ধান্ত ভঙ্গ করে প্রতিষ্ঠানের অর্ধেক শার্টার খুলে বেচা বিক্রি চালিয়ে যাচ্ছেন। বাণিজ্যিক এলাকা চকবাজার, কাঠপট্টি, গির্জা মহল্লা এলাকাসহ নগরীর বিভিন্ন সড়কে এতো পরিমাণের লোকজন বাসা বাড়ি থেকে বের হয়ে চলাচল করছে, যা দেখে মনে হয়না বরিশাল নগরীতে এখনও জেলা প্রশাসনের জারি করা লকডাউন রয়েছে।
[৬] জেলা প্রশাসক এসএম অজিয়র রহমান বলেন, করোনাভাইরাস থেকে জনগণকে সুরক্ষায় সর্বত্র স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিতকরণ এবং বাজার দর নিয়ন্ত্রণে রাখতে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। তারই ধারাবাহিকতায় স্বাস্থ্যবিধি না মেনে একই পরিবারের একাধিক সদস্য নিয়ে ঈদের কেনাকাটা করায় বরিশালে ক্রেতা—বিক্রেতাদের কাছ থেকে প্রায় ৫০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। সম্পাদনা: ইস্রাফিল হাওলাদার
আপনার মতামত লিখুন :