বাবুল আক্তার : [২] কম উৎপাদন খরচ ও ভালো মুনাফার কারণে যশোরের চৌগাছায় বাড়ছে মুখিকচুর চাষ। ধান উৎপাদনে খরচ ও ঝুঁকি বেশি কিন্তু লাভ কম। সে কারনে কম খরচে ঝুঁকি ছাড়ায় আগাম মুখি কচু চাষ করে লভাবান হচ্ছে কৃষক।
[৩] উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানাগেছে, এ বছর উপজেলায় ৪৩০ হেক্টর জমিতে মুখি কচুর আবাদ হয়েছে। গত বছরের তুলনায় বছল ৫০ হেক্টর জমিতে বেশি চাষ হয়েছে।
[৪] উপজেলার রামকৃষ্ণপুর গ্রামের চাষী, ফজলুর রহমান, পাঁচবাড়িয়া গ্রামের মুক্তার হোসেন, গোপালপুর গ্রামের খলিল ও রাজ্জাক জানান, এবছর প্রতিবিঘা জমিতে লিজসহ সেচ, সার, কিটনাশক দিয়ে মোট ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা খরচ করে ৫০ থেকে ৬০ মণ কচু উৎপাদন হয়েছে। যার বর্তমান বাজার মূল্য ১ লাখ টাকারও বেশি।
চাষীরা আরো জানান, ইরিধান চাষ করলে জমিতে বছরে দু’টি ফসল হয়। অন্যদিকে মুখি কচু চাষ করলে খুব ভালোভাবে একই জমিতে তিনটি ফসল উৎপাদন করা সম্ভব।
[৫] কৃষি উপহকারি কর্মকর্তা চাঁদআলী জানান, ইরি-বোরো ও আগাম মুখি কচু চাষ একই সময়ের ফসল। জানুয়ারি মাসে কচুর কন্দ জমিতে রোপন করতে হয়। সঠিক পরিচর্যা করতে পারলে কোনোরকম ঝুঁকি ছাড়াই এপ্রিলের শেষের দিকে বাজারজাত করা সম্ভব। অন্যদিেিক ইরিধান চাষে লাভ কম ঝুঁকি বেশি। এজন্য কৃষি অফিস থেকে বলা হচ্ছে ইরিধানের চাষ কমিয়ে ফল ও সবজি আবাদ চাষ করতে। তাছাড়া ভূগর্ভস্থ পানির উপরে চাপ কমাতে ইরি-বোরো আবাদ কমিয়ে আউশ ও আমন চাষে কৃষকদের উদবুদ্ধ করছে কৃষি বিভাগ। তবে এবছর করোনা প্রাদূর্ভাব মোকাবেলা করতে ধান চাষের উপরে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে কৃষি বিভাগ।
[৬] চৌগাছা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রইচ উদ্দীন জানান, মুখি কচু চাষে কোনো ঝুঁকি নেই। কৃষক জমিতে মুখী কচু রোপন করে তুলনা মূলক কম সময়ে বিক্রি করতে পারে। মুখি চাষে উৎপাদন খরচ খুব কম। পাশাপাশি রাসায়নিক সারের পরিবর্তে কৃষক জৈব (গোবর) সার ব্যবহার করলে উৎপাদন খরচ কম হবে।
আপনার মতামত লিখুন :