ইসমাঈল আযহার : [২] উত্তর সিরিয়ার আল-হাসাকাহের পল্লী অঞ্চলে অবস্থিত আল-হুল শিবিরে গত বেশ কয়েকদিন ধরে তুমুল উত্তেজনা লক্ষ করা যাচ্ছে। শিবিরটিতে আইএস সদস্যদের স্ত্রীরা পালানোর আশায় জীবনযাপন করছে এবং কেউ কেউ পালানোর পরিকল্পনাও করেছে। আল আরাবিয়া
[৩] খবরে বলা হয়, আইএস সদস্যরা সিরিয়ার ডেমোক্র্যাটিক ফোর্স (এসডিএফ) এর কারাগারের পেছনে অবস্থান নিয়েছে। কয়েক বছর ধরে হাজার হাজার মানুষ যাদের ভয় ও সন্ত্রাসের শিকার তারা আজ জাতিসংঘের মানবাধিকার সংস্থাগুলোকে তাদের দুর্দশার বিষয়টি দেখার আহ্বান জানাচ্ছে।
[৪] আল-হুল শিবিরে বেড়ে চলেছে নৈরাজ্য ও বিশৃঙ্খলা। করোনাভাইরাস সংকট মোকাবেলায় ব্যস্ত পুরো বিশ্ব। আর এই সুযোগে আইএসের কিছু মহিলা সদস্য ও পুরুষ সদস্যদের স্ত্রীরা পালিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে।
[৫] সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস আল মারসাদ জানিয়েছে, শিবিরের নিরাপত্তা বাহিনী আইএস সদস্যদের পরিবারের ৩ নারীকে আটক করেছে। ৩ জন নারীই তুরস্কের নাগরিক। ওই ৩ নারী বিশৃঙ্খলা ছড়িয়ে দিয়ে পালিয়ে যেতে শিবিরের শরণার্থী মহিলাদের অংশে আগুন দেওয়ার চেষ্টা করছিলো।
[৬] আল-হুল ক্যাম্পকে বলা হয় টাইম বোমা। গত মার্চ মাসের শেষদিকে আইএস পরিবারের ৫ জন রাশিয়ান মহিলা তাদের ১৩ শিশুকে নিয়ে পালানোর চেষ্টা করলে কুর্দি সেনাবাহিনীর হাতে আটক হয়।
[৭] সিরিয়ার শহর আল-হাসাকাহর ৪৫ কিলোমিটার পূর্বে অবস্থিত আল-হুল শিবির কুর্দিদের ‘স্বায়ত্তশাসিত’ অঞ্চলের সবচেয়ে বড় শিবিরগুলোর একটি। এই শিবিরে ৭৪ হাজারের বেশি জনসংখ্যা রয়েছে। তাদের মধ্যে আইএস সদস্যদের স্ত্রী ও সন্তানদের পাশাপাশি রয়েছে অন্যান্য শরণার্থীরা।
[৮] আল-হুল শিবিরকে বিশ্বের সবচেয়ে বিপজ্জনক শিবির বিবেচনা করা হয়। কারণ, শিবিরটিতে ৪০ হাজার আইএস মহিলা ও তাদের সন্তান বসবাস করছে। শিবিরে শিশুর হার ৬৬ শতাংশ। যাদের বেশিভাগের কোনও পরিচয় নথি নেই। বিশেষ করে যেসব শিশু ইসলামিক স্টেটের তথাকথিত ‘দাউলাতুল ইসলামিয়া’ খিলাফাত দ্বারা শাসিত অঞ্চলে জন্মগ্রহণ করেছে।