শাহীন খন্দকার : [২] চলতি বছর মানিগঞ্জের পেয়াঁজ চাযীরা লাভের মুখ দেখতে পেরে খুশি কৃষক। করোনার কারণে বিপণনে নানা সমস্যার পরও দেড় মাস ধরে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ থাকায় এবার কাঙ্ক্ষিত দাম পেয়েছেন তারা। কৃষি বিভাগ বলছে, এখন পেঁয়াজ আমদানি করলে কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হবে। ভোর থেকেই মানিকগঞ্জে পেঁয়াজ বিক্রির জন্য ঘর থেকে আড়তে নেয়ায় ব্যস্ত হয়ে পড়েন কৃষকেরা। বাম্পার ফলন ও দাম বেশি থাকায় করোনার মধ্যেই ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের পাশে জমজমাট হয়ে উঠেছে বরংগাইলের পেঁয়াজের আড়ৎ।
[৩] প্রতি বছর দাম না পাওয়ার অভিযোগ থাকলেও এবার করোনার কারণে বিদেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ থাকায় লাভের মুখ দেখেছেন কৃষকেরা। তাই বিদেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধের দাবি তাদের। পেঁয়াজের আড়তে আসা ঢাকা-চট্টগ্রামের পাইকারদের মতে, বিদেশ থেকে পেঁয়াজ আসলে শুধু কৃষকই নয় তারাও ক্ষতিগ্রস্ত হন। আমদানি বন্ধ থাকলে দেশে পেঁয়াজের উৎপাদন বাড়বে বলে আশা আড়তের নেতার।
[৪] বরংগাইল পেঁয়াজের আড়ৎ সাধারণ সম্পাদক মো: জহিরুল হক বলেন, পেঁয়াজের এখন ভরা মৌসুম। এই সময় যদি বিদেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানি করা বন্ধ করা হয় তাহলে আমরা লাভবান হতে পারবো। জেলার শীর্ষ কৃষি কর্মকর্তার মতে, ভরা মৌসুমে পেঁয়াজ আমদানি করলে ক্ষতিগ্রস্ত হবে কৃষক।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর উপ পরিচালক মো. শাহাজান আলী বিশ্বাস বলেন, এই মৌসুমের পেঁয়াজটা যদি তারা বিক্রি করে, পরে যদি পেঁয়াজ শেষ হয়ে যায় তখন বাইরে থেকে আসলেও ক্ষতি নেই।
[৫] মানিগঞ্জ কৃষি অফিসের তথ্য মতে, মার্চ থেকে জুন পযর্ন্ত চার মাস, দেশে পেঁয়াজের ভরা মৌসুম। জেলায় এবার সাড়ে ৫ হাজার হেক্টর জমিতে ৭২ হাজার ১শত ৮৫ মেট্রিক টন পেঁয়াজ উৎপাদন হয়। তথ্য মানিকগঞ্জ ফেইসবুক পেইজ।