আসিফুজ্জামান পৃথিল : [২] প্রতিবছর ইরাকের ইমাম আলি মাজার দর্শন করেন সাহের আল রুবাইয়ি। এবছরও তিনি ইসলামের ৪র্থ খলিফার কবর পরিদর্শণ করেছেন। তবে সশরীরে নয়, নিজের লিভিংরুমে বসে একটি স্ক্রিনে চোখ রেখে। ডন, এমএসএন, ব্যাংকক পোস্ট
[৩] ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে দেশটির প্রধান মসজিদ ও মাজারগুলো দর্শণার্থীদের জন্য বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে হযরত আলীর মকবরাও। নাজাফ শহরে তার মাজারে আর পূণ্যার্থীদের ঢল নামে না।
[৪] এই মাজারের মাত্র কয়েকশ মিটার দূরে বাস করেন রুবাইয়ি। তিনি লকডাউনের কারণে বাড়িতেই থাকছেন। এক হাত তুলে তিনি ঘরে বসেই প্রার্থনা করেন, আর আরেক হাতে থাকে মোবাইল ফোন।
[৫] স্ক্রিনে ভেসে ওঠে বিশাল মাজারের ছবি। যার মারবেল মোড়ানো মেঝে অসাধারণ ক্যালিগ্রাফিতে সুসজ্জিত। এরপর ধীরে ধীরে জেগে ওঠে পুরো মকবরার ছবি। উজ্জল সোনালী আভা ছড়ানো যার চারিদিকে।
[৬] কোভিড-১৯ এর কথা মাথায় রেখে নিজের প্রার্থনাও বদলাতে হয়েছে রুবাইয়িকে। তিনি আবৃত্তি করেন, ‘আমি আপনাকে জিয়ারত করতে এসেছি, বিশ্বাসীদের নেতা। তবে দূর থেকে।’
[৭] এরাকের ধর্মীয় ট্যুরিজমের ব্যাপক ক্ষতি করেছে এই অতি মহামারী। দেশটির তেলের আয় ছাড়া তেল বহির্ভূত অর্থনীতির অর্ধেকই আসে এই খাত থেকে।
[৮] স্বাভাবিক বছরগুলোতে কয়েক মিলিয়ন তীর্থযাত্রী নাজাফ ও কারবালা দর্শনে আসেন। এদের বেশিরভাগই ইরান ও ভারতের নাগরিক। এখানে থেকে কয়েক বিলিয়ন ডলার আয় হয় দেশটির।