সালেহ্ বিপ্লব : [২] দক্ষিণ পশ্চিম জার্মানির ফিলিপসবার্গ প্লান্টের এই টাওয়ারগুলোর প্রতিটির উচ্চতা ছিলো ১৫০ মিটার। বুধবার সকাল ৬টায় টাওয়ারগুলো নামিয়ে আনা হয়। এটি আগে ছিলো নিউক্লিয়ার রিঅ্যাক্টর। এটি ধ্বংস করার মধ্যদিয়ে সাবেকী আমলের একটি শক্তির উৎসকে নিস্ক্রিয় করা হলো। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে দুনিয়া থেকে সবুজ যেভাবে বিদায় নিতে শুরু করেছে, ধ্বংসের সেই ধারাকে ঠেকিয়ে দেয়ার উদ্দেশ্যেই জার্মানি এই কাজটি করেছে। ইয়ন, ডয়চে ভেলে
[৩] নিউক্লিয়ার চুল্লি সরিয়ে দিয়ে এখানে এখন একটি ট্রান্সফর্মার স্টেশন বসানো হবে। এটি উত্তর জার্মানি থেকে সবুজ বিদ্যুৎ আনবে। উল্লেখ্য সৌরবিদ্যুৎ ও জলবিদ্যুতকে সবুজ বিদ্যুৎ হিসেবে অভিহিত করা হয়, একই সঙ্গে জৈব উৎস থেকে উৎপাদিত বিদ্যুতও এই তালিকাভূক্ত।
[৪] জার্মানি ধারাবাহিকভাবে পারমাণবিক শক্তি উৎপাদন থেকে সরে আসছে। ফিলিপসবার্গ প্লান্টে দুটি চুল্লি ছিলো। প্রথমটি ২০১১ সালে ও অপরটি ২০১৯ সালে ধ্বংস করা হয়। এখনো জার্মানিতে ৬টি নিউক্লিয়ার প্লান্ট রয়েছে, যেগুলো ২০২২ সালের মধ্যেই বন্ধ করা হবে।
[৫] দেশটি পারমাণবিক বর্জ্য কমিয়ে এনে নাগরিকদের স্বাস্থ্যঝুঁকি কমাতে চায়। পারমাণবিক শক্তি উৎপাদন করতে গিয়ে পৃথিবী অনেক ভয়ংকর অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হয়েছে। ফুকুশিমা, চেরনোবিল ও থ্রি মাইল আইল্যান্ডে ভয়াবহ বিস্ফোরণ এখনো বিশ্বের বুকে দগদগে ঘা হয়ে আছে। ওই বিস্ফোরণগুলোতে যে ক্ষতি হয়েছে, তা এখনো কাটিয়ে ওঠা যায়নি।
[৬] পারমাণবিক বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র বন্ধ করলেও এগুলোর ক্ষতিকর প্রভাব কাটিয়ে ওঠা এতো সহজ নয়। ধাপে ধাপে ক্ষতিকর রশ্মি বিকিরণ বন্ধ করতে ২৫ থেকে ১০০ বছর লাগে।
আপনার মতামত লিখুন :