মুসবা তিন্নি : [২] জয়পুরহাটের পাঁচবিবির একটি গাছে মৌমাছিরা বাসা বেঁধেছে। সেই মৌচাক দেখতেই লকডাউনের মধ্যে ভিড় করছে উৎসুক জনতা। কারণ ওই গাছে একটি নয় ১২টি বড় মৌচাক রয়েছে! একসঙ্গে এতোগুলো মৌচাক তাই দেখার জন্য মানুষের উৎসাহের শেষ নেই।
[৩] মহিপুর ৫০ শয্যার হাসপাতালের অভ্যন্তরের ওই গাছটি এলাকায় মৌগাছ হিসেবে পরিচিত। হাসপাতালের নারী ও শিশুদের ওয়ার্ড এবং প্রসূতি নারীদের ডেলিভারি কক্ষের সঙ্গেই বিরাট আকারের একটি মৌগাছ। সেই গাছে বছরের পর বছর ধরে মৌমাছিরা বাসা বেঁধে বাস করছে।
[৪] জানা গেছে, চিকিৎসক, নার্স, অফিস স্টাফ, রোগী ও তাদের আত্মীয়স্বজনরা প্রতিদিন আসা-যাওয়া করলেও কেউই ওই মৌমাছি দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত হননি।
[৫] হাসপাতালের একাধিক রোগী ও নার্স বলেন, মৌচাকগুলো রোগীদের কক্ষের জানালা থেকে ৩-৪ হাত দূরেই। দিনের বেলায় বাহিরের বাতাসের জন্য অনেক সময় জানালা খোলা থাকলেও কখনো মৌমাছিগুলো রুমের ভিতর আসে না। তবে সন্ধ্যার সময় আলো জ্বালালে কিছু মৌমাছি আসে। এরপরও কাউকেই কামড় দেয়নি।
[৬] হাসপাতালের অফিস সহকারী আবদুল বারিক বলেন, এখন পর্যন্ত হাসপাতালের পাশে এই গাছে চাক বেঁধে এতোগুলো মৌমাছি থাকলেও এদের দ্বারা কেউ আক্রান্ত হয়নি। কৃষকের ক্ষেতে যখন মৌসুমি ফসল সরিষার ফুল ফোটে তখন মৌমাছির বসবাস একটু কমে যায়।
[৭] হাসপাতালের প্রধান কর্মকর্তা ডা. শহীদ হোসেন বলেন, চিকিৎসক, নার্স, অফিস স্টাফ ও রোগীর বিপদ ঘটতে পারে, এ কারণে এসব মৌচাক থেকে মধুসংগ্রহ করা হয় না। সূত্র : ফেসবুক, যুগান্তর, প্রিয় ডটকম, বাংলাদেশ জার্নাল।
আপনার মতামত লিখুন :