মুসবা তিন্নি : [২] করোনা আবহে আতঙ্ক বাড়ল ইউনিসেফের আশঙ্কায়! সম্প্রতি ইউনিসেফ উদ্বেগ প্রকাশ করে জানিয়েছে, করোনার জেরে বিপর্যস্ত স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় প্রয়োজনীয় পরিষেবা বা চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে শিশুরা। ফলে বিভিন্ন রোগ-ব্যাধীতে বিশ্বজুরে প্রতিদিন হাজারেরও বেশি শিশু মৃত্যুর ঘটনা ঘটতে পারে।
[৩] সম্প্রতি ‘ল্যান্সেট গ্লোবাল হেলথ’-এ প্রকাশিত প্রতিবেদনে ইউনিসেফের পক্ষ থেকে উদ্বেগ প্রকাশ করে জানানো হয়েছে, আগামী ৬ মাসে বিশ্বের ১১৮টি দেশে পাঁচ বছরেরও কম বয়সী প্রায় ২.৫ মিলিয়ন (২৫ লক্ষ) শিশুর মৃত্যু হতে পারে। ইউনিসেফের এগজিকিউটিভ ডিরেক্টর হেনরিটা ফোর জানান, এই প্রথম সারা বিশ্বে এত শিশুর মৃত্যুর আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
[৫] এর পাশাপাশি ইউনিসেফের আশঙ্কা, করোনার জেরে বেহাল স্বাস্থ্য পরিষেবা, বিপর্যস্ত পরিকাঠামোর ফলে আগামী ছয় মাসে মৃত্যু হতে পারে ৫৬ হাজার ৭০০ জন মায়েরও।
[৬] এর আগে ইউনিসেফ ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা WHO একই সঙ্গে উদ্বেগ প্রকাশ করে জানিয়েছিল, করোনার জেরে বিভিন্ন দেশের সীমান্ত বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সব রকম পন্যের আমদানি-রফতানিও বন্ধ। ফলে বেশ কয়েকটি দেশে বন্ধ রয়েছে ওষুধ সরবরাহ। এর উপর অর্থনৈতিক সংকটের জেরে মানুষের কাছে নগদ অর্থের অভাব প্রকট হচ্ছে। হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলির বেশির ভাগই ব্যস্ত করোনার চিকিৎসায়। ফলে সব মিলিয়ে ব্যাহত হচ্ছে স্বাভাবিক ও সার্বিক চিকিৎসা পরিষেবা।
[৭] ইউনিসেফ জানিয়েছে, ১১ই মার্চ থেকে ১৬ই ডিসেম্বরের মধ্যে গোটা বিশ্বে প্রায় ১৬ কোটি শিশুর জন্ম হবে। এর মধ্যে ভারতেই জন্মাবে প্রায় ২ কোটি শিশু। ইউনিসেফের আশঙ্কা, করোনার জেরে বিশ্ব জুড়ে মা ও শিশুদের প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য পরিষেবা মারাত্মক ভাবে ব্যাহত হতে পারে। এতে বড়সড় জীবনের ঝুঁকি রয়েছে তাদের। তাই প্রতিটি দেশের সরকার ও স্বাস্থ্যকর্মীদের সতর্ক করে দিয়ে ইউনিসেফ জানিয়েছে, করোনা চিকিৎসার পাশাপাশি মা ও শিশুদের প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য পরিষেবা স্বাভাবিক ভাবে সচল রাখতে হবে। না হলে আরও বড় বিপর্যয়ের সম্মুখীন হতে পারে গোটা বিশ্ব। সূত্র : জি নিউজ বাংলা
আপনার মতামত লিখুন :