মঈন উদ্দীন: [২] রাজশাহীতে ভার্চুয়াল কোর্টের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। প্রথম দিনে এই কোর্টের মাধ্যমে ২ জন জামিন পেয়েছেন। এদিকে রাজশাহীর আইনজীবীরা ভার্চ্যুয়াল কোর্ট বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন। নিজেদের প্রযুক্তিগত ও অবকাঠামোগত অসুবিধার কারণে আইনজীবীরা এই কোর্ট বর্জনের সিদ্ধান্ত নেন বলে জানা গেছে।
[৩] গত ১০ মে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগ তার—২১১ নম্বর বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে আদালতে শারীরিক উপস্থিতি রোধ ও সামাজিক দুরত্ব নিশ্চিতকরে ভার্চ্যুয়াল কোর্ট পরিচালনার নির্দেশ দেন। উচ্চ আদালতের নির্দেশনা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে গত ১১ মে রাজশাহী মহানগরের বিভিন্ন থানার মামলা সমূহ পরিচালনার লক্ষ্যে রাজশাহী সিএমএম আদালতে ৪টি ভার্চুয়াল কোর্ট স্থাপন এবং এ আদালতের কার্যক্রম পরিচালনার জন্য যাবতীয় প্রস্তুতিও সম্পন্ন করা হয়।
[৪] রাজশাহী বার সমিতির সূত্রে জানা গেছে, রাজশাহী অ্যাডভোকেট বার এসোসিয়েশনের সভা কক্ষে এক বিশেষ সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় উপস্থিত আইনজীবীদের সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যের মতামতের ভিত্তিতে ভার্চুয়াল কোর্টে অংশগ্রহন না করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হয়। এর কারণ হিসেবে আইনজীবীদের প্রযুক্তি ও অবকাঠামোগত সমস্যা ও ভার্চ্যুয়াল কোর্ট পরিচালনার বিষয়ে জ্ঞান না থাকার বিষয় উল্লেখ করা হয়েছে। রাজশাহী অ্যাডভোকেট বার সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট পারভেজ তৌফিক জাহেদী স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।
[৫] ভার্চুয়াল কোর্ট বর্জনের ব্যাপারে রাজশাহী অ্যাডভোকেট বার সমিতির সাধারণ সম্পাদক পারভেজ তৌফিক জাহেদী জানান, ‘রাজশাহীতে ভার্চুয়াল কোর্ট আছে। আমরা আইনজীবি সমিতি এই বিদ্যমান পরিস্থিতিতে সেখানে অংশ না নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি, কারণ এই পদ্ধতি সম্পর্কে আমাদের জ্ঞান নেই। এখানে স্ক্যানার মেশিন নেই। এটি হুট করেই করা হয়েছে। আমরা আইনের বিপক্ষে নই। আমরা ভার্চুয়াল কোর্টের বিপক্ষেও না, কিন্তু এই মূহুর্তে এটি করতে পারছি না। সম্পাদনা: ইস্রাফিল হাওলাদার
আপনার মতামত লিখুন :