ডেস্ক রিপোর্ট : [২] ওই চুক্তি বাতিল করার আহ্বান করে চীনের পররাষ্ট্র বিভাগ বুধবার একটি বিবৃতি দিয়েছে। এতে বলা হয়, তাইওয়ানে অস্ত্র বিক্রির তৎপরতা বন্ধ না করলে চীন-ফ্রান্সের সম্পর্কে ফাটল অনিবার্য।
[৩] চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ঝাও লিজিয়ান বিবৃতে বলেন, তাইওয়ানে যে কোনো ধরণের বিদেশী অস্ত্র ও নিরাপত্তা আদান-প্রদানের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে বেইজিং। বেইজিংয়ের এ অবস্থান সুসঙ্গত ও স্পষ্ট।
[৪] ঝাও লিজিয়ান বলেন, 'ওয়ান-চায়না' নীতির প্রতি সম্মান দেখাতে আমরা ফ্রান্সকে আহ্বান জানাই। চীনের সঙ্গে সম্পর্ক রাখতে হলে যেকোন দেশকে এ নীতির প্রতি অবশ্যই সম্মান দেখাতে হবে। চীন-ফ্রান্সের সম্পর্কে ফাটল ঠেকাতে অবিলম্বে তাইওয়ানে অস্ত্র বিক্রির চুক্তি বাতিল করতে হবে প্যারিসকে।
[৫] 'ওয়ান-চায়না' নীতি হলো তাইওয়ান বিষয়ে চীনের এমন একটি নীতি যেখানে দেশটি মনে করে তাইওয়ান চীনের অংশ। যদিও তাইওয়ানের সার্বভৌমত্বের দাবিকে সমর্থন দিয়ে আসছে যুক্তরাষ্ট্রসহ কয়েকটি মিত্র দেশ। তাইওয়ানের নিরাপত্তা ব্যবস্থার বেশিরভাগই যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্রে সজ্জিত। তবে ১৯৯১ সালে ফ্রান্স তাইওয়ানে যুদ্ধজাহাজ লাফায়েট শ্রেণীর ফ্রিগেট বিক্রি করে। এর পর ১৯৯২ সালে তাইওয়ানে আরও ৬০টি মিরাজ ফাইটারজেট বিক্রি করে ফ্রান্স। এসব কারণে সেসময় চীন ও ফ্রান্সের সম্পর্ক তলানিতে ঠেকে।
[৬] সম্প্রতি মিসাইল সিস্টেম উন্নত করতে ফ্রান্সের কাছ থেকে ২ কোটি ৮০ লাখ ডলারের ডাগায়ে এমকে-২ লঞ্চার আপগ্রেড কিট এবং অন্যান্য নিরাপত্তা সামগ্রী কেনার পরিকল্পনা নিয়েছে তাইওয়ান। ফ্রান্সের কাছ থেকে তাইওয়ানের অস্ত্র কেনা ঠেকাতে চীন এমন কড়া ভাষায় প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। সারাবাংলা
আপনার মতামত লিখুন :