লিহান লিমা: [২] বিজ্ঞানীরা সতর্ক করে বলেছেন, তুরস্কের পানিতে বসবাসকারী ব্যাঙ প্রজাতির অস্তিত্ব ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে। ২০১৩ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত প্রতি বছর আনাতোলিয়ায় পানিতে বসবাসকারী ব্যাঙের সংখ্যা ২০ শতাংশ করে হ্রাস পেয়েছে। দ্য ইন্ডিপেনডেন্ট
[৩] ইজ বিশ্ববিদ্যালয়, মধ্যপ্রাচ্য প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, স্টোনি ব্রুক বিশ্ববিদ্যালয় ও তুরস্কের সরকারের পূর্ব সমীক্ষায় বলা হয়েছে, ২০৫০ সাল নাগাদ দক্ষিণ-মধ্য কুকোরোভা অঞ্চল থেকে ব্যাঙের প্রজাতি পুরোপুরি বিলুপ্ত হয়ে যাবে। যদি ব্যাঙ উৎপাদনের এই ট্রেন্ড চলতে থাকতে তবে ২০৩২ সালের পর এটি আর টিকে থাকবে না।
[৪] তুরস্কে ব্যাঙ চাষের শিল্প ৪০ বছরের পুরনো। এর বাৎসরিক মূল্য প্রায় ৪০ লাখ ডলারের। প্রতি বছর তুরস্ক থেকে ইউরোপ ও মধ্যপ্রাচ্যে ৩ কোটি ৬০ লাখেরও বেশি ব্যাঙ রপ্তানি করা হয়।
[৫] যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স, পূর্ব ও দক্ষিণপূর্ব এশিয়ায় উভচর প্রাণী খাদ্য হিসেবে ব্যাপক জনপ্রিয়। দ্য ইন্ডিপেনডেন্ট ও মুভিং অ্যানিমেল গ্রুপের যৌথ তদন্তে দেখা গিয়েছে, ভিয়েতনামের বাজারে বড় পানির পাত্রে জ্যান্ত ব্যাঙ ছেড়ে সেগুলো বিক্রি করা হচ্ছে।
[৬]কনসারভেশন জার্নাল ওরেক্সেও এক গবেষণায় দেখা গিয়েছে, বিশ্বব্যাপী উভচর প্রাণীদের হার হ্রাস প্রাকৃতিক বাস্তুসংস্থান ও মানবপ্রজাতির কল্যাণের ওপর বিরুপ ও ধ্বংসাত্মক প্রভাব ফেলতে পাওে। তারা বাস্তুতন্ত্রের অবিচ্ছেদ্য উপাদান। দুর্ভাগ্যবশত প্রতিবছর উভচর প্রাণীদের হ্রাসের হার বৃদ্ধি পাচ্ছে। এটিকে দ্রুত থামাতে হবে।
[৭] কোনো নির্দিষ্ট দেশে ব্যাঙ চাষ বন্ধ করে এটিকে রোধ করা যাবে না। কারণ ফ্রান্স ও রোমানিয়াতে ব্যাঙ চাষ বন্ধ করার পর ভারত ও বাংলাদেশ থেকে সরবরাহ বাড়ে। এই দেশগুলোতে বন্ধের পর এখন ইন্দোনেশিয়া ও চীন ব্যাঙের বৃহত্তম রপ্তানিকারক।
[৮] গবেষকরা বলেন, ব্যাঙ চাষ কমানো গেলে ব্যাঙের প্রজাতিকে টিকিয়ে রাখা সম্ভব। তারা ব্যাঙের প্রজনন মৌসুমে ব্যাঙ চাষ বন্ধ করার সুপারিশ করেন। এবং ৩০ কেজির নিচের ব্যাঙ শিকার ও রপ্তানি সম্পূর্ণভাবে নির্মূল করা উচিত। সেই সঙ্গে চাষীদের প্রশিক্ষণ দেয়ার পরামর্শ দেন তারা।
আপনার মতামত লিখুন :