পাঁচ পর্বের ধারাবাহিক প্রতিবেদেনর আজ চতুর্থ পর্ব
রাহুল রাজ : [২] টি-টোয়েন্টি দলের একজন বোলারই হতে পারে ট্রাম্পকার্ড। পাল্টে দিতে পারে ম্যাচের ফলাফল। টি-টোয়েন্টিতে প্রতিপক্ষ টিমের জন্য যত অস্ত্র ব্যবহার করা হয় তার মধ্যে লেগ স্পিন অন্যতম। ১৪ বছরের টি-টোয়েন্টি খেললেও বাংলাদেশ এখনো কোন স্বীকৃত লেগ স্পিনার দলে অন্তুর্ভূক্ত করতে পারেনি।
[৩] ভারতে যুজবেন্দ্র চাহাল, কুলদিব জাদব, ইংল্যান্ডের আদিল রশিদ, আফগানিস্তানের রশিদ খান, মুজিবের মতো লেগ স্পিনের বাঁকে নির্বাক হয় ব্যাটসম্যান। পাল্টে যায় ম্যাচের ফলাফল।
[৪] এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ একজন রিস্ট স্পিনারের অভাব পূরণে ব্যর্থ হয়েছে। ফাস্ট বোলার হিসেবে যারা দলে আছে তাদের মধ্যেও ইয়োরকার বা ভিতরে-বাহিরে সুইং দেবার ধারাবাহিকতার অভাব রয়েছে। ডেথ ওভারে রান চেক দিতে না পারায় অনেক ম্যাচের ভাগ্য পরিবর্তন হয়ে গেছে।
[৫] টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশর পক্ষে ৭৬ ম্যাচে ৯২ উইকেট তুলে সাকিব এই তালিকায় সবার উপরে। সময়মত বিশ্বকাপ হলে সাকিবকে ছাড়াই মাঠে নামতে হবে টাইগারদের। স্পিন বিভাগে মিরাজ এখন দলের একমাত্র ভরশা। মিরাজের পরিসংখানে ভক্তরা নিরাশ হতে পারে। ৪ ম্যাচ খেলে তার ঝুলিতে রয়েছে মাত্র ১ টি উইকেট।
[৬] ৫৮ উইকেট নেয়া মোস্তাফিজুর হবে বাংলাদেশের আক্রমণ বিভাগের প্রধান অস্ত্র। রুবেল বাটাফ্লাই সুইং আর ইয়র্কার দিতে পারলেও শেষের দিকে অনিয়ন্ত্রিত বোলিং করে ভুগিয়েছে বেশ কয়েকবার।
[৭] সাবেক স্পিনার মোহাম্মদ রফিক জানান, বর্তমান নড়বড়ে বোলিং আর স্পিন দূর্বলতা নিয়ে প্রতিপক্ষের সাথে ম্যাচ জয় করাই হবে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।
আপনার মতামত লিখুন :