সময় টিভি : [২] কিশোরগঞ্জের ভৈরবে প্রথম বারের মতো বাণিজ্যিকভাবে চাষ হয়েছে সৌদি আরবের ‘সাম্মাম বা রক মেলন’ নামে পরিচিত ফল। মাস্টার্স পাস করা হৃদয় আহমেদ নামে এক যুবক কালিপুরের রামশংকরপুর গ্রামে তিন বিঘা জমিতে এ ফলের চাষ করেছেন। ফলনও খুব ভালো হয়েছে। কিন্তু করোনা ভাইরাসের কারণে পরিবহন ব্যবস্থা না থাকায় দূরদূরান্তের পাইকাররা আসতে পারছেন না বলে জানানি এ চাষি। ফলে লোকসানে পড়তে পারে এমনটাই আশঙ্ক করছেন এই ফল চাষি। সাম্মাম চাষি হৃদয় আহমেদের সাথে কথা হলে তিনি জানান, সাম্মাম সৌদি আরবের একটি জনপ্রিয় রসালো ফল।
[৩] বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক বড় ভাইয়ের মাধ্যমে জানতে পারি চীন ও থাইল্যান্ড থেকে প্রতি বছরই শত কোটি টাকা দিয়ে এ ফল বাংলাদেশে আমদানি করা হয়। এ চিন্তাধারা থেকে বাবার জমিতে শুরু করেছি চাষ। সৌদি আরবের এই সাম্মাম বা রক মেলন নামে পরিচিত এ ফলের ফলনও খুব ভালো হয়েছে। সাম্মাম ফলের বাহিরের অংশ হলুদ আর ভিতরের অংশ লাল। পুষ্টি জাতীয় এই ফল খেতে খুবই সুস্বাদু ও মিষ্টি। এ ফল মানুষের শরীরের তাপমাত্রাকে নিয়ন্ত্রণ রাখে। বীজ বপনের দু মাসের মধ্যেই গাছে ফল আসে যা খাবার উপেযোগী হয়।
[৪] প্রতি কেজি দুই থেকে আড়াইশো টাকা দরে পাইকারি বিক্রি হয় জমি থেকেই। পাইকাররা বাজারে ৪ শত থেকে ৫ শত টাকা দরে প্রতি কেজি বিক্রয় করে থাকেন বলে জানান ফল চাষি হৃদয় আহমেদ। এলাকাবাসী মো. রাব্বী মিয়া বলেন, সাম্মাম একটা বিদেশি ফসল। আমি এই প্রথম দেখলাম, হৃদয় ভাই একটা উচ্চ শিক্ষিত মানুষ হয়ে যে এই সাম্মাম চাষে উদ্যোগ নিয়েছে আশা করি দেশের বেকার মানুষের জন্য কাজে লাগবে।
আপনার মতামত লিখুন :