রাশিদ রিয়াজ : [২] রীতিমত জেহাদ শুরুর তাগিদ দিয়েছেন ক্যাথলিক বিশপরা। করোনা মহামারীতে পর্নোগ্রাফির বিষাক্ত ছোবল সমাজকে আরো ক্ষতিগ্রস্ত করছে বলে অশ্লীলতা আইন প্রয়োগ, যারা এধরনের ওয়েবসাইট পরিচালনা করছে তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত ছাড়াও রাষ্ট্র ও স্থানীয় সরকারগুলোকে এ শিল্পকে নিরুৎসাহিত করার তাগিদ দেয়া হয়েছে। ফোর্বস
[৩] এ্যাটর্নি জেনারেল উইলিয়াম বারকে লেখা এক চিঠিতে ক্যাথলিক বিশপদের সম্মেলন থেকে বলা হয় পর্নোগ্রাফি তৈরি কারকরা শতাব্দীর এই কঠিন মহামারীর সময়ে সবচেয়ে জনস্বাস্থ্য সংকটের মধ্যে মানুষের মধ্যে বিচ্ছিন্নতা ও তীব্র মানসিক চাপের সুযোগ নিচ্ছে।
[৪] চিঠিতে আরো বলা হয় যাজক হিসেবে আমরা প্রায়শ পর্নোগ্রাফিতে অভ্যস্তদের যে বেদনা তা অনুভব করি। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে সংসার ভেঙ্গে যাওয়া, মনোমালিন্য, আইনের দ্বারস্থ হলেও এর কুপ্রভাব তাদের সন্তানদের দীর্ঘমেয়াদে বিরাজ করে।
[৫] যাজকদের তরফ থেকে আরো বলা হয় গত ৩০ বছর ধরে প্রযুক্তি যতই উন্নত হচ্ছে পর্নোগ্রাফি ততই সহজলভ্য হয়ে উঠছে। অথচ এই বিপদজনক মিডিয়ার ওপর মার্কিন বিচারবিভাগকে কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নিতে দেখা যায়নি। নারী ও শিশু পাচার ও নির্যাতন আশঙ্কজনকভাবে বাড়ছে।
[৬] তবে চার্চের এধরনের আহবানকে পর্নোগ্রাফি তৈরি প্রতিষ্ঠান কিঙ্ক’এর মুখপাত্র মিখায়েল স্ট্যাবিলি বলেছেন পর্নোগ্রাফি শোষণ বা সহিংসতার সাথে জড়িত নয়। লোকেরা লজ্জা ছাড়াই যৌনতাকে বেছে নেয়ায় যাজকরা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন।
আপনার মতামত লিখুন :