শিরোনাম
◈ ঢাকার হোটেলে আটকে আছেন রাজশাহীর বিদেশি ক্রিকেটাররা ◈ পঞ্চম দিনের মতো অনশনে তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীরা ◈ জাতীয় দলের নির্বাচকের দায়িত্ব ছাড়লেন হান্নান সরকার ◈ ক্রীড়া উপদেষ্টা ও বিসিবি সভাপতি বিপিএলে ব্যর্থতার দায় স্বীকার করলেন ◈ দক্ষিণ এশিয়ার কূটনীতি পরিবর্তনের পেছনে ভারত-পাকিস্তানের পুরনো প্রতিদ্বন্দ্বিতা ◈ কারা অধিদপ্তরের লোগো থেকে সরানো হলো নৌকা ◈ আবারও বাড়ল এলপি গ্যাসের দাম ◈ শিক্ষা ক্যাডারের কর্মকর্তা - ক্লাসের বদলে মাঠে আ’লীগের লিফলেট বিতরণে ব্যস্ত (ভিডিও) ◈ ৮ জেলায় বিএনপির নতুন কমিটি ◈ প্রধান উপদেষ্টা নিজেই সরকারের নিরপেক্ষতা প্রশ্নবিদ্ধ করলেন?

প্রকাশিত : ১২ মে, ২০২০, ০৮:৪৬ সকাল
আপডেট : ১২ মে, ২০২০, ০৮:৪৬ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

[১] রেল কর্মকর্তা-কর্মচারি নয় কোয়ার্টারে থাকেন ভাড়াটিয়ারা, দীর্ঘদিনের রেওয়াজ ভাঙ্গার কেউ নেই

ইসমাঈল হুসাইন ইমু : [২] বাংলাদেশ রেলওয়ের সরকারি কোয়ার্টারপ্রাপ্ত বেশিরভাগ কর্মকর্তা কর্মচারি কোয়ার্টারে না থেকে ভাড়া দিয়ে দেন। দীর্ঘদিন ধরে এ অবস্থা চলছে। রেল কর্মকর্তারা বলছেন এটা রেওয়াজে পরিনত হয়ে গেছে।

[৩] এছাড়া অনেকেই চাকরির সুবাদে ছোট একটি কোয়ার্টার বরাদ্দ পেলেও আশপাশের জায়গায় ঘর তুলে ভাড়া দিচ্ছেন। নিন্ম আয়ের লোকেরাও সেখানে থাকছেন স্বাচ্ছন্দেই। তবে রেল কর্মকর্তাদের যোগসাজশে স্থানীয় প্রভাবশালীরা এসব কোয়াটার থেকে ভাড়া তুলছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

[৪] জানা গেছে, তেজগাঁও রেল স্টেশন মাষ্টার এম এ আজিজ তার জন্য বরাদ্দকৃত কোয়ার্টারের পাশেই গড়ে তুলেছেন মিনি বস্তি। সেখানে ১৫/১৬ টি ঘর তুলে ভাড়া দিচ্ছেন। প্রতিমাসে ৭০ থেকে ৮০ হাজার টাকা ভাড়া তুলছেন তিনি। স্টেশনের আশপাশে দোকান ভাড়া নিচ্ছেন। পাশাপাশি রিকশার গ্যারেজও ভাড়া দেয়া হয়েছে রেলের জায়গায়। দীর্ঘদিন ধরেই এ অবস্থা চলে আসছে। এছাড়াও ওই এলাকার প্রায় সব কোয়ার্টারেই থাকেন বিভিন্ন শ্রেনি পোশার মানুষ। আর রেল কর্মকর্তা-কর্মচারিরা থাকেন বিভিন্ন ফ্লাট বাড়িতে।

[৫] এ বিষয়ে তেজগাঁও স্টেশন মাষ্টার এম এ আজিজ বলেন, রেলের প্রায় ৮০ শতাংশ কর্মচারি কোয়ার্টারে থাকেন না। তারা কোয়ার্টার ভাড়া দিয়ে অন্যত্র থাকেন। যাদের বাসা প্রয়োজন নেই তাদের কোয়ার্টার বাতিল হওয়া দরকার। কোয়ার্টারের পাশে বরাদ্দকৃত জায়গায় বস্তিঘর বানানো প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এটা সবাই করে আসছে। শুধু তেজহাঁও নয় দেশের সব স্টেশনের অবস্থা একই। দোকান ও আড়তের ভাড়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, মাত্র দুটি দোকান রয়েছে স্টেশনে। আর এখন এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কাজ শুরু হওয়ায় কোনো কলা, মুরগি ও ডিমের আড়ৎ নেই। আগে সেখান থেকে ৩ লাখ টাকা ভাড়া উঠতো। আড়তের পাওনা টাকা নিয়ে মামলা চলছে বলে জানান তিনি।

[৬] স্থানীয় একটি সূত্র জানিয়েছে, স্টেশনের পাশের আড়ৎ বন্ধ হওয়ার আগে খাজনা বাবদ মোটা অংকের টাকা ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে নিয়েছে স্টেশন মাষ্টার। যে টাকা সরকারি কোষাগারে জমা হয়নি। এছাড়াও হকার বসানো, পরিচ্ছন্নকর্মী নিয়োগসহ নানা অযুহাতে টাকা তোলার অভিযোগ রযেছে স্টেশন মাষ্টারের বিরুদ্ধে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়