প্রিয়াংকা আচার্য্য : [২] চ্যানেল আইয়ের এক অনুষ্ঠানে বিশিষ্ট এ অর্থনীতিবিদ জানান, আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো ইতিমধ্যে ২.৬ বিলিয়ন ডলার বা ২২ হাজার কোটি টাকা সহায়তা প্রদানের আশ্বাস দিয়েছে। আমাদের ঋণ পরিশোধের রেকর্ড ভালো। অর্থের সঠিক ব্যবহার হলে আমরা বড় ধরনের কোন ক্ষতির মুখে পড়বো না।
[৩] ঢাকা অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের কেন্দ্রবিন্দু। তাই ঢাকা হটস্পট হওয়া স্বত্ত্বেও এখানে লক ডাউন শিথিল করা হয়েছে। লোকজন আবার ধীরে ধীরে ঢাকায় আসা শুরু করেছে। এতে সংক্রমণের মাত্রা যদি বহগুণে বেড়ে যায় তাহলে তা সামাল দেয়া কঠিন হয়ে পড়বে। ফলে অর্থনৈতিক কার্যক্রমও ব্যাহত হবে। সুতরাং স্বাস্থ্যগত সুরক্ষার বিষয়টি কঠোবভাবে মানা উচিত।
[৪] বলা হচ্ছে, সরকারের ঘোষণাকৃত প্রণোদনাটি ব্যাংক ও কাস্টমারের সম্পর্কের ওপর ভিত্তি করে দয়া হবে। এতে ব্যাংক কিন্তু রিস্কে থেকে যাচ্ছে। কারণ ঋণ ফেরত না পেলে ব্যাংক ঝুঁকিতে পড়বে। তাই ব্যাংক যারা সবল ব্যবসায়ী তাদেরকেই ঋণ দিতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করবে।
[৫] কিন্তু প্রণোদনা দেয়ার কথা যারা চলমান মন্দায় ব্যবসা রক্ষা করতে হিমশিম খাচ্ছে তাদের। সুতরাং এখানে একটা ফাঁক থেকে যাচ্ছে। ফলে সরকার ব্যবসা খাতে সহায়তায় প্রণোদনা দিলেও সমন্বয়হীনতার অভাবে তা কার্যকর ভূমিকা না রাখার আশংকা থেকে যায়।
[৬] আসন্ন বাজেট গতানুগতিকভাবে করলে হবে না। এবার স্বাস্থ্যখাতকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিতে হবে। কৃষিখাতের প্রয়োজন মেটাতে হবে। সামাজিক সুরক্ষা নিশ্চিত করা। কারণ জীবিকা নিয়ে যদি সংশয় থেকে যায় তাহলে মানুষ রাস্তায় নামবে। পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের নগর সহায়তা পৌঁছে দিতে হবে।
[৭] এরই সঙ্গে সন্তানদের দীর্ঘ সময় পর্যন্ত লেখাপড়ার বাইরে রাখা যাবে না। নয়তো তাদের ভবিষ্যৎ জীবনের ওপর বিশাল চাপ পড়ে যাবে। তাই সামাজিক দূরত্ব মেনে নতুনভাবে শিক্ষা প্রদানে প্রযুক্তির ব্যবহারে কি পরিমান খরচ পড়বে তা দেখতে হবে। আর বাজেটে আমাদের অবকাঠামোগত উন্নয়নে জোর দিতে হবে। সূত্র : চ্যানেল আই
আপনার মতামত লিখুন :