সিরাজুল ইসলাম: [২] ১৯১৮-১৯ সালে ফ্লুর অতি মহামারীর পর এটাই ২০ শতকে সব চেয়ে বড় অতি মহামারী। ১৯১৮-১৯ সালের ফ্লুর অতি মহামারীতে পৃথিবীতে এক থেকে দুই মিলিয়ন মানুষ মারা যায়।
[৩] ১৯৫৭ সালের এপ্রিলে এইচ২এন২ ফ্লুর প্রাদুর্ভাব হয় হংকংয়ে। পরে এটা চীনে ছড়িয়ে পড়ে এবং জুনে নৌবাহিনীর জাহাজের মাধ্যমে এটি উপকূলীয় সামরিক ঘাঁটি ও গ্রীষ্মকালীন শিবিরে পৌঁছায়।
[৪] জুনের শেষ দিকে যুক্তরাষ্ট্রের ৪৩ অঙ্গরাজ্য এবং ৯টি দেশ থেকে এক হাজার ৬৮৮ জন মানুষ (অধিকাংশই নারী) আইওয়ার গ্রিনেলে গির্জায় সমবেত হয়। তারা বাড়ি ফেরার পরও কারো মধ্যে এ নিয়ে কৌতুহল সৃষ্টি হয়নি। কারণ যুক্তরাষ্ট্রের রোগ নিয়ন্ত্রণ বিভাগ আশ্বস্ত করেছিলো- কোনও মহামারী হবে না। ২০০৯ সালে সিয়াটল টাইমসের নিবন্ধে এ তথ্য জানানো হয়। ম্যারিল্যান্ড থেকে আসা গ্রিনেল কলেজের ৭ বালক ও বালিকা ভাইরাস সংক্রমিত হয়। পরে এ ভাইরাস ব্যাপক আকারে ছড়িয়ে পড়ে।
[৫] ম্যারিল্যান্ডের স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, এ ভাইরাস এতটা প্রাণঘাতী হবে, তা তারা ভাবতেও পারেননি। এটা মানুষ থেকে মানুষে এবং এক দেশ থেকে অন্য দেশে ছড়িয়ে পড়ে। শিশুদের অনেক শিবিরেও ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ে। অন্তত ৭০টি বিচ বন্ধ করে দেয়া হয়। এটাকে তারা বলছেন ওরিয়েন্টাল ফ্লু।
[৬] ইউরোপের দক্ষিণাঞ্চল, মধ্য ও দক্ষিণ আমেরিকা এবং আফ্রিকার উপকূলীয় অঞ্চলের গর্ভবতী নারী, শিশু ও বৃদ্ধরা এ ভাইরাসের শিকার হয়। তবে দ্রæতই এ ভাইরাসের টিকা আবিষ্কার হয়।
[৭] এ ভাইরাসে যুক্তরাষ্ট্রে গ্রীষ্মে ৪০ হাজার এবং শীতে ২০ হাজার মানুষ মারা গেছে। দ্য বাল্টিমোর সান
আপনার মতামত লিখুন :