বিশ্বজিৎ দত্ত : [২] মধ্য মে থেকে শুরু হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের ফসলকাটার মৌসুম। কিন্তু করোনায় সংকট দেখা দিয়েছে কৃষি শ্রমিকের। বিদেশি শ্রমিকদের ভিসা দিচ্ছে না দেশটি। আবার অনেকে আসতেও চাচ্ছেন না। সূত্র: আল আরাবিয়া।
[৩] দেশের মোট কৃষি শ্রমিকের ৩০ শতাংশ আসে বাইরে থেকে। তাদের জন্য এইচ টু এ ভিসা প্রদান করা হয়। প্রধানত দক্ষিণ আফ্রিকা, পূর্ব ইউরোপ, দক্ষিণ আমেরিকার দেশগুলো থেকে কৃষি শ্রমিক আসে যুক্তরাষ্ট্রে। তারা ৬ থেকে ৭ মাস কাজ করে। শীত শুরু হওয়ার আগ পর্যন্ত তারা মাঠে কাজ করে। তারা প্রধানত প্রতি বছর একই ফার্মে কাজ করে।
[৪] টেক্সাসের একজন কৃষক জানান, আমেরিকান শ্রমিকদের বেশি বেতন দিতে হয়। তা ছাড়া আমেরিকান শ্রমিকদের পুরো বছরের জন্য নিয়োগ দিতে হয়। তারা মৌসুমে কাজ করতে চায়না। আবার কৃষিকাজে অভিজ্ঞতা নেই এমন শ্রমিকদের নিয়োগ দিলে লাভের চেয়ে ক্ষতির সম্ভবনা বেশি।
[৫] অন্য একজন কৃষক জানান, বাইরের শ্রমিকদের হার্ভেস্টার মেশিন চালানোর দক্ষতা রয়েছে। তিনি জানান, এবছর ৫ মিলিয়ন ডলারের হার্ভেস্টার যন্ত্রপাতি ক্রয় করেছেন তিনি। এখন শ্রমিক না পওয়ায় আত্মিয় স্বজন ও বন্ধু বান্ধবদের নিয়ে ফসল তুলছেন। এরজন্য কাজ করতে হচ্ছে সকাল ৬ টা থেকে রাত ৯ টা পর্যন্ত। তার আশংকা তিনি অর্ধেকের কম ফসল তুলতে পারবেন।
[৬] গম, মটরশুটি, সয়াবিন, সরিষা যুক্তরাষ্ট্রের কৃষির প্রধান শস্য।
আপনার মতামত লিখুন :