প্রিয়াংকা আচার্য্য : [২] আমাদের স্বাস্থ্যখাত নিয়ে দুটো বিষয় আছে। বরাদ্দ এবং ব্যবস্থাপনা। শনিবার সিপিডির পক্ষ থেকে আমরা চেয়েছে জিডিপির ২ শতাংশ যেন স্বাস্থ্যখাতে বরাদ্দ হয়। আর বরাদ্দকৃত অর্থ যেন সুষ্ঠুভাবে ব্যবহার করা হয়। কারণ আমরা দেখেছি, এ খাত চরম দুর্নীতিগ্রস্ততার শিকার। বলে একাত্তর টিভিকে জানান সিপিডির পরিচালক।
[৩] আমাদের নিজেদের যে লক্ষ্যমাত্রা ৭ম পঞ্চ বার্ষিকী পরিকল্পনায় স্বাস্থ্যখাতে থাকে জিডিপির ১.২ শতাংশ বরাদ্দের কথা রয়েছে। কিন্তু গত কয়েক বছর ধরে দেখছি মোট বাজেটের ৪.৯ শতাংশ ও জিডিপির ০.৯ শতাংশ বরাদ্দ করা হচ্ছ। যেখানে বিশ্ব ব্যাংকের আকাঙ্খা স্বাস্থ্যখাতে ১৫ শতাংশ বরাদ্দ হোক।
[৪] দেশের স্বাস্থ্যসেবায় অনেক সীমাবদ্ধতা রয়েছে। প্রতি ১৫৮১ জনের জন্য একজন রেজিস্টার্ড চিকিৎসক। ১১৯৬ জনের জন্য হাসপাতালের একটি বেড রয়েছে। ২০১৭-য় দেয়া সরকারি তথ্য থেকে এ হিসাব উঠে এসেছে।
[৫] সাধারণ অবস্থায়ই যদি এমন পরিস্থিতি থাকে তাহলে কোভিড-১৯ এর মতো মহামারী আমরা এরকম স্বাস্থ্য ব্যবস্থা দিয়ে মোকাবেলা করতে পারবো না।
[৬] আমরা দেখতে পাচ্ছি, যুক্তরাষ্ট্রর মতো উন্নত দেশ এই মহামারী সামলাতে হিমশিম খেয়ে যাচ্ছে। মৃত্যুর মিছিল থামছে না।
[৭] স্বল্পোন্নত দেশ হওয়ায় সম্পদের সীমাবদ্ধতা রয়েছে। বাজেটে কোন খাতে বরাদ্দ কি পরিমান হবে তা নিয়ে চিন্তিত থাকি। লক্ষ্য করা যাচ্ছে, গত বাজেটগুলোতে অবকাঠামো খাতে বরাদ্দ বেড়েছে। ফলে মেগা প্রজেক্টগুলো বাস্তবায়ন করা সম্ভব হচ্ছে।
[৮] বর্তমান অবস্থার প্রেক্ষাপটে স্বাস্থ্যখাত নিয়ে আর শিথিলতা দেখানোর সুযোগ নেই। কিন্তু সম্পদের গুণগত ব্যবহার নিশ্চয়তার সময় এসেছে। দুর্নীতির চক্র এ খাতকে ঘিরে ধরেছে। এই চক্র ভাঙা না গেলে এবং ব্যবস্থাপনার সমন্বয়হীনতাও দূর করতে না পারলে বরাদ্দকৃত অর্থ জনগণের কাজে লাগবে না।
[৯] প্রতিবছর জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের দেয়া আয়ের লক্ষ্যমাত্রা আমরা কখনই অর্জন করতে পারি না। তাহলে এই যে বাজেটে অর্থ বরাদ্দ বৃদ্ধির কথা হলো তাহলে সেটি আসবে কোথা থেকে।
[১০] জনগণের ওপর কর আদায় বাড়িয়ে দিবে, তা তো হবে না। তাহলে যারা এতোদিন কর ফাঁকি দিয়ে আসছিলেন তা কীভাবে রোধ করা যায় তা দেখতে হবে।
[১১] এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, ইতিমধ্যে ৫ লাখ কোটি টাকা দেশের বাইরে চলে গেছে। এই বিপুল পরিমান অর্থ পাচার যদি বন্ধ করা যায় তাহলে নিশ্চয়ই আমরা আলোর মুখ দেখবো। সূত্র : একাত্তর টিভি
আপনার মতামত লিখুন :