শিরোনাম
◈ ড. ইউনূসকে নিয়ে ১০ বছর আগে যা বলেছিলেন নরেন্দ্র মোদি ◈ জামায়াত কাদের সঙ্গে জোট করবে, জানালেন সেক্রেটারি গোলাম পরোয়ার ◈ ৫৩ বছর দেখেছি, আমরা আরও দু-এক বছর ড. ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারকে দেখতে চাই:  নুরুল হক (ভিডিও) ◈ নবীনগরে বিপনী মার্কেটে আগুন, পুড়ে ছাই ১২ দোকান ◈ ‘ওরেশনিক’ রাশিয়ার নতুন ক্ষেপণাস্ত্র নিয়ে যা জানা গেল ◈ ফেসবুকে দাবি ‘মুগ্ধ ও স্নিগ্ধ একই ব্যক্তি’, যা বলছে ফ্যাক্ট চেক ◈ মাগুরায় উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগ সভাপতি গ্রেপ্তার ◈ জয়নাল থেকে বনে গেছেন ডা.আরিফ, নেই কোনো শিক্ষাগত যোগ্যতা (ভিডিও) ◈ গুমের বিচার ও গুম বিলুপ্ত করা আমাদের টপ প্রায়োরিটি : প্রেস সচিব ◈ ঢাকা মহানগরীতে মহাদুর্ভোগ

প্রকাশিত : ০৯ মে, ২০২০, ১১:১৯ দুপুর
আপডেট : ০৯ মে, ২০২০, ১১:১৯ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

[১] করমুক্ত আয়সীমা সাড়ে তিন লাখ টাকা করার সুপারিশ সিপিডির

শিমুল মাহমুদ: [২] কর হারে সবচেয়ে কম হার ১০ শতাংশের পরিবর্তে ৫ শতাংশ করার সুপারিশ করা হয়েছে। এ ছাড়া চলতি অর্থবছরের কর যেন আগামী মার্চ মাস পর্যন্ত কিস্তিতে দেওয়া যায়, তা বিবেচনা করার কথা বলেছে বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)।

[৩] শনিবার এক ভারচুয়াল সংবাদ সম্মেলনে আগামী অর্থবছরের বাজেট প্রস্তাব দিয়েছে সিপিডি। সেখানে এসব সুপারিশ করা হয়।

[৪] ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প প্রতিষ্ঠানকে কিছুটা স্বস্তি দিতে টার্নওভার কর অব্যাহতির সীমা ৫০ লাখ টাকা থেকে বাড়িয়ে এক কোটি টাকায় উন্নীত করা সুপারিশ করেছে সিপিডি। এই মুহূর্তে করপোরেট কর অপরিবর্তিত রাখার প্রস্তাব দিয়েছে তারা।

[৫] সিপিডি বলছে, বড় বড় প্রতিষ্ঠানের জন্য ইতিমধ্যে প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছে সরকার। এছাড়া আর কালো টাকা সাদা করার সুযোগ বাতিল করার প্রস্তাব করেছে।

[৬] সিপিডি বলছে, কর হার না বাড়িয়ে কর ফাঁকি বন্ধে বেশি মনোযোগী হতে হবে। বিশেষ করে বিদেশে টাকা পাচার বন্ধ করতে বিশেষ উদ্যোগ নেওয়ার ওপর জোর দিতে হবে।

[৭] করদাতারা চলতি বছরের কর যেন আগামী মার্চ মাস পর্যন্ত কিস্তিতে দিতে পারেন- সেই প্রস্তাব করেছে সিপিডি। করপোরেট কর অপরিবর্তিত রাখার সুপারিশ

[৮] আগামী অর্থবছরের বাজেটে চারটি খাতকে প্রাধান্য দেওয়ার সুপারিশ করেছে সিপিডি। খাতগুলো হলো স্বাস্থ্য, কৃষি, সামাজিক নিরাপত্তা ও কর্মসংস্থান। এসব খাতে বরাদ্দ বৃদ্ধি করার কথা বলেছে তারা।

[৯] সিপিডির বিশেষ ফেলো মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, স্বাস্থ্য খাতে পর্যাপ্ত বরাদ্দ রাখা হচ্ছে না। ফলে জনগণকে নিজের পকেট থেকে বেশি টাকা খরচ করতে বাধ্য হচ্ছেন।

[১০] তিনি বলেন, কর ফাঁকি প্রতিরোধ করতে পারলে আরও বেশি রাজস্ব আদায় হতো। কর-জিডিপি অনুপাত বাংলাদেশে বেশ কম। এটি বেশি হলে করোনা প্রতিরোধের এই সময়ে সরকার আরও বেশি অর্থ খরচ করতে পারত।

[১১] সরকার ঘোষিত প্রণোদনা সম্পর্কে সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন বলেন, এই প্রণোদনার ৮০ শতাংশ টাকা ব্যাংকগুলোকে জোগান দিতে হবে। ব্যাংক খাত এমনিতেই দুর্বল। এখানে ঋণ খেলাপির পরিমাণ বেশি। অনেক প্রভাবশালী ও ইচ্ছাকৃত ঋণ খেলাপি আছে। এখন চ্যালেঞ্জ হলো—ব্যাংকগুলো প্রণোদনার টাকা দিতে কীভাবে প্রতিষ্ঠান বাছাই করবে। কেননা অতীতের মতো এবারও সুযোগ সন্ধানীরা এমন পরিস্থিতির সুযোগ নিতে পারেন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়