মঞ্জুরুল হক : আহা! ১২ বছর ধরেই আমরা তাদের রক্তচক্ষুর রাডারের আওতায়। আহা! আবার আমরা সেই স্মৃতিতে ফিরে যাবো। ‘জাতীয় অর্থনীতিতে পুঁই শাক চাষের গুরুত্ব আলোচনা করো’- প্রশ্নমান-১০। উত্তর : পুঁই (Basella alba) এক প্রকার লতা জাতীয় উদ্ভিদ। পুঁই Basellaceae গোত্রভুক্ত বহুবর্ষজীবী উষ্ণম-লীয় গাছ। বাংলাদেশে, পশ্চিমবঙ্গে, আসামে এবং ত্রিপুরায় সর্বত্র এর চাষ হয়ে থাকে। এটি নরম বহুশাখা যুক্ত উদ্ভিদ। এর মাংসল লতা দ্রুতবেগে দৈর্ঘ্যে ১০ মিটার অবধি বাড়তে পারে। এর মোটা, অনেকটা রসালো, হরতন আকৃতির পাতাতে মৃদু সুগন্ধ আছে। পাতা মসৃণ, খানিকটা পিচ্ছিল ভাব আছে। বাংলাদেশ, পশ্চিমবঙ্গ, আসাম ও ত্রিপুরায়, আফ্রিকায় পুঁই ডাঁটার রান্না প্রচলিত আছে। উত্তর ভিয়েতনামে কাঁকড়ার মাংস, ধুন্ধল ও পাটশাকের সঙ্গে পুঁইয়ের সুপ খুব জনপ্রিয় খাবার। মালাবার উপকূলে সুপ ঘন করার জন্য রসুন ও লংকার সঙ্গে ভাজা হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এর মধ্যে অনেক ভিটামিন ‘এ’, ভিটামিন ‘সি’, ‘লোহা’ ও ক্যালসিয়াম আছে। এছাড়া ক্যালরির ঘনত্ব কম। পুঁইশাক পুষ্টিকারক ও তৃপ্তিকারক। পাতা মূত্রকারক। গনোরিয়া রোগে এটি উপকারী। অর্শ রোগে অতিরিক্ত স্রাব, অতিসার প্রভৃতিতে অন্যান্য উপদানের সঙ্গে পুঁইশাকের ব্যবহার আছে। পুঁইশাকের পাতার রস ছোটদের সর্দি, কোষ্ঠবদ্ধতা প্রভৃতিতে উপকার দেয়। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :