শিরোনাম
◈ ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলা নতুন করে তদন্ত করা উচিত: হাইকোর্ট ◈ শেখ হাসিনা ও মঈন ইউসহ ৫৮ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দাখিল ◈ এস আলম ও তার পরিবারের ১২৫ ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের নির্দেশ ◈ সহিংসতাকারীদের ছাড় নয়: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ◈ অবশেষে কেরাণীগঞ্জে রূপালী ব্যাংকে ঢুকে পড়া তিন ডাকাতের আত্মসমর্পণ ◈ মিয়ানমার নিয়ে বাংলাদেশ-ভারত-চীনের বৈঠক, কার কী স্বার্থ? ◈ কেরানীগঞ্জে ব্যাংকে ‘ডাকাতদল’, এবার অভিযানে সেনাবাহিনী ◈ কিল-ঘুসিতে কৃষি ব্যাংকের সাবেক সিবিএ নেতার মৃত্যু ◈ কেরানীগঞ্জে রূপালী ব্যাংকে হানা দেয়া ডাকাতদের ২ দাবি ◈ ইতালির কঠোর ভিসা আবেদন প্রক্রিয়ায় ৩৬টি দেশের শীর্ষে বাংলাদেশিরা!

প্রকাশিত : ০৯ মে, ২০২০, ০৭:৫৩ সকাল
আপডেট : ০৯ মে, ২০২০, ০৭:৫৩ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

[১] ভৈরব খাদ্যগুদামের কেলেঙ্কারি ঘটনায় নিরহ ১০ শ্রমিক দেড় মাসেরও বেশি দিন ধরে কারাগারে

তন্ময় আলমগীর, কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি: [২] ফলে শ্রমিকদের পরিবারগুলো অর্ধাহারে অনাহারে মানবেতর জীবন-যাপন করছেন। ঘটনার দিন ভৈরব খাদ্যগুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ কামরুল হাসান ও গুদামের শ্রমিক সরবরাহকারী মো. ফারদুল্লাহকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের সঙ্গে ১০ জন শ্রমিকও আটক করা হয়।

[৩] গ্রেফতারকৃত শ্রমিকরা হলেন- বরজু মিয়া (৩৫), মো. ফরিদ (৪৯), মো. হোসেন মিয়া (৪০), মো. সোহরাব মিয়া (২৯), মো. মিটন মিয়া (২৮), রউফ মিয়া (২৭), মো. লোকমান মিয়া (৩৩), মো. মন মিয়া (২৮), মো. হান্নান মিয়া (৩৬), তাজুল ইসলাম ( ২২)। তাদের সবার বাড়ি ভৈরবের বিভিন্ন গ্রামে। তাদের আয়ের ওপরই নির্ভর করত সংসারের খরচ। তারা কারাগারে বন্দী থাকায় পরিবারগুলো চরম খাদ্যাভাবে রয়েছে বলে জানিয়েছেন গুদামের শ্রমিক সরদার।

[৪] গত ২১ মার্চ খাদ্য অধিদফতরের মহা-পরিচালক সারোয়ার মাহমুদ ভৈরব খাদ্যগুদাম পরিদর্শন করতে গিয়ে দুই ও তিন নম্বর গুদামের মজুত কম সন্দেহে সিলগালা করে দেন। পরদিন ২২ মার্চ খাদ্যগুদামের কর্মকর্তা কামরুল ইসলাম গুদামের সিলগালা খুলে ফেলেন।

[৫] খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ঘটনাস্থলে গিয়ে গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ ১২ জনকে আটক করেন। এদিন রাতেই জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মোহাম্মদ তানভীর হোসেন ১০ শ্রমিকসহ ১২ জনকে আসামী করে ভৈরব থানায় একটি মামলা করেন। এরপর জেলা প্রশাসকের গঠন করা পাঁচ সদস্যের তদন্ত টিম খাদ্যগুদামের ছয়টি গুদামের মজুত মালামাল যাচাই শেষে ৮১ টন চাল ও এক লাখ ৭৭ হাজার নতুন খালি বস্তার মজুত কম দেখতে পান।

[৬] উল্লেখিত মালামালের সরকারি মূল্য প্রায় দেড় কোটি টাকা বলে অফিস সূত্রে জানা গেছে। ঘটনায় শ্রমিক সরবরাহকারী ফারদুল্লাহর ভাই মো. ওবাইদুল্লাহ দাবি করেন আমার ভাইয়েরও কোনো অপরাধ নেই।

[৭] খাদ্য গুদামের শ্রমিক সরদার আবদুস সালাম জানান, ঘটনার দিন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার নির্দেশে শ্রমিকরা গুদামের ভেতরে কাজ করেছে। গুদামটি সিলগালা ছিল কিনা আমরা তা জানিনা। শ্রমিকরা দিন আনে দিন খায়। অপরাধ করলে গুদামের অফিসার করেছেন। আমরা হুকুম দিলে কাজ করি। অথচ এদিন ১০ শ্রমিককে গ্রেফতার করা হয়। তারা ৪৬ দিন ধরে কারাগারে। শ্রমিকদের পরিবারগুলো অর্ধাহারে অনাহারে দিন কাটাচ্ছে। আমি তাদের অবিলম্বে মুক্তি দাবি করছি।

[৮] এ বিষয়ে জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক তানভীর হোসেন জানান, ১০ শ্রমিকসহ ১২ জনকে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আটক করেছেন বলেই আমি ঊর্ধতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে ঘটনার অপরাধে থানায় মামলা করেছি। শ্রমিকদের কোনো অপরাধ আছে কিনা প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, বিষয়টি মামলার তদন্তে প্রমাণ হবে।

[৯] উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লুবনা ফারজানা জানান, খাদ্য অধিদফতরের ঊর্ধতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে আমি তাদেরকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করি। মামলা করেছে খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তা। আমি ঘটনার দিন হাতেনাতে সিল ভাঙা গুদামের ভেতরে শ্রমিকদের পেয়েছি। তাই আটক করতে বাধ্য হয়েছি। এখন মামলার তদন্তে শ্রমিকরা অপরাধী না হলে মুক্তি পাবে। বিষয়টি এখন আমার এখতিয়ারে নেই বলে তিনি জানান। সম্পাদনা:জেরিন আহমেদ

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়