ইকবাল খান : [২] মানুষকে ঘরে থাকতে এবং জনসমাগম এড়িয়ে চলতে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেনি তৎকালীন ব্রিটিশ সরকার
[৩] যুক্তরাজ্যে ২,২৮,০০০সহ বিশ্বজুড়ে প্রাণ হারায় ৫ কোটি মানুষ
[৪] সম্প্রতি ব্রিটেনের পাবলিক হেলথ ইংল্যান্ড করোনাভাইরাস সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে কী পদক্ষেপ নেয়া হবে, তা ঠিক করতে স্প্যানিশ ফ্লু সংক্রমণ নিয়ে গবেষণা করেছে। সূত্র: বিবিসি।
[৫] গবেষণায় দেখা গেছে, রোগটি দ্বিতীয় ধাপে ছড়িয়ে পড়লে, তা প্রথম দফার চেয়ে অনেক বেশি ভয়াবহ পরিস্থিতি ধারণ করেছিল।
[৬] ১৯১৮ সালের মে মাসে যখন যুক্তরাজ্যে স্পানিশ ফ্লুতে প্রথম রোগী শনাক্ত হয়, তখন প্রথম বিশ্বযুদ্ধ চলছিলো। অন্য অনেক দেশের সরকারের মত যুক্তরাজ্যের সরকারও দ্বিধা-দ্ব›েদ্বর মধ্যে ছিল যে যুদ্ধকে অগ্রাধিকার দেয়া হবে, না রোগকে।
[৭] ১৯১৮ সালের জুলাইয়ে, যুক্তরাজ্যের রয়্যাল সোসাইটি অব মেডিসিনের জন্য স্যার আর্থার নিউজহোমের স্যার আর্থার নিউজহোম এক ‘গণবিজ্ঞপ্তি’ প্রকাশ করতে চেয়েছিলেন যেখানে মানুষকে ঘরে থাকতে এবং জনসমাগম এড়িয়ে চলতে নির্দেশ দেয়ার কথা ছিল।
[৮] ১৯১৮ সালে ইনফ্লুয়েঞ্জার কোনো চিকিৎসা ছিল না এবং নিউমোনিয়ার মত রোগের চিকিৎসায় কোনো অ্যান্টিবায়োটিকও আবিষ্কার হয়নি।
[৯] ওই সময় সংক্রমণ ঠেকানোর জন্যে কোনো লকডাউন হয়নি। তবে অনেক থিয়েটার, নাচের হল, সিনেমা হল এবং গির্জা বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল।
[১০] স্টেডিয়ামে দর্শক কম রাখার বা খেলা বাতিল করার কোনো ধরণের নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়নি সে সময়।
[১১] কিছু কিছু শহরে জীবাণুনাশক ছড়িয়ে দেয়া হয় এবং কিছু লোক জীবাণু বিরোধী মাস্ক পড়তো। তবে এই সময়ে সবাই স্বাভাবিক জীবনযাপন করে গেছে।
[১২] কাশি এবং হাঁচির মাধ্যমে ভাইরাস ছড়ানোর বিষয়ে সতর্কতা জানানো হয়েছিল প্রজ্ঞাপণ ও প্রচারপত্রের মাধ্যমে।
[১৩] যুক্তরাষ্ট্রের কোনো কোনো রাজ্য তাদের নাগরিকদের কোয়ারেন্টাইনে করার নির্দেশ দেয়। কোনো কোনো রাজ্য মুখে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করার চেষ্টা করে।
[১৪] পুরো দেশেই সিনেমা হল, থিয়েটার বন্ধ করে দেয়া হয়।