লিহান লিমা: [২]যুক্তরাষ্ট্রের হাওয়াই দ্বীপে অবস্থিত জেমিনি নর্থ টেলিস্কোপের ইনফ্রারেড থেকে এই ছবিগুলো পাওয়া গেছে। ছবিগুলোতে গ্রহটির বিশাল গ্যাস স্তরের নীচের উষ্ণ আলোকোজ্জ্বল স্থানগুলো ফুটে উঠেছে। বিজ্ঞানীরা বলেছেন, পৃথিবী থেকে এর পূর্বে এমন সূক্ষ ছবি তোলা সম্ভব হয় নি। বিবিসি, দ্য গার্ডিয়ান
[৩] বৃহস্পতি গ্রহের এই রেজ্যুলেশনের ছবি পেতে বিজ্ঞানীরা ‘লাকি ইমেজিং’ প্রযুক্তি ব্যবহার করেছেন যা পৃথিবীর অশান্ত বায়ুমন্ডলের ভেতর দিয়ে মহাকাশের অন্য গ্রহগুলো পর্যবেক্ষণের সময় দেখা দেয়া ঝাপসা ভাব দূর করে দেয়। এই প্রক্রিয়ায় লক্ষ্যবস্তুর কয়েকটি ছবি তোলা হয় এবং সবচেয়ে ভালো ছবিটি রাখা হয়। বিবিসি, দ্য গার্ডিয়ান
[৪] ইনফ্রারেড টেলিস্কোপ হাবল টেলিস্কোপের চেয়ে দীর্ঘতর আলোক তরঙ্গ শনাক্ত করতে পারে। অতীতে মেঘেঢাকা ও কুয়াশায় ঘেরা বৃহস্পতির বায়ুমÐলের শীর্ষ স্থান দেখতে এটি ব্যবহৃত হতো। যা দিয়ে বিজ্ঞানীরা গ্রহের অভ্যন্তরীণ বিষয়গুলো বোঝার চেষ্টা করতেন। গবেষকরা বুঝতে চাইতেন কিভাবে, গ্রহটিতে গ্যাসীয় নির্ভর আবহাওয়া তৈরি হয়েছে ও টিকে রয়েছে কিভাবে শতাব্দীর পর শতাব্দী জুড়ে বৃহস্পতির ঝড়গুলো অব্যাহত রয়েছে।
[৫] ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি গবেষণার অংশ হিসাবে এই ইনফ্রারেড ছবিগুলো পাওয়া গেছে। এটি হাবল টেলিস্কোপ ও জুনো মহাকাশযানের একটি গবেষণা কর্মসূচীর অংশ, যেটি এখন সৌরমÐলের পঞ্চম গ্রহটি ঘিরে প্রদক্ষিণ করছে।
[৬] ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানী মাইলেক ওয়াং বলেন, ‘বিজ্ঞানীরা বজ্রপাতের দৃশ্য তুলেছেন, কারণ এটি দিয়ে বৃহস্পতির অশান্ত মিশ্রণ প্রক্রিয়া বোঝা যায়, এটি বৃহস্পতির অভন্তরীণ তাপকে দৃশ্যমান মেঘের শীর্ষে স্থানান্তর করে। বস্তুকণার স্থানান্তরের মাধ্যমে তাপ সঞ্চারণে বৃহস্পতি এবং পৃথিবীতে কী ধরণের পার্থক্য আছে, বজ্রপাতের এই উৎসের মাধ্যমে চলমান গবেষণায় সেটি বুঝতে সুবিধা হবে।
[৭]বৃহস্পতিগ্রহ পৃথিবীর চেয়ে ১১ গুণ বেশি প্রশস্ত ও ৩০০ গুণ বেশি বড়। পৃথিবীর হিসেবে সূর্যকে প্রদক্ষিণ করতে এর সময় লাগে ১২ বছর, এর এক দিন পৃথিবীর সমান ১০ ঘণ্টার। এর গঠন অনেকটা নক্ষত্রের মতো, বেশিরভাগই গঠিত হাইড্রোজেন ও হিলিয়াম দিয়ে। গ্রহটিতে দেখা লাল বিন্দু হলো ‘ভরটেক্স’ নামক বিশাল ঝড়, যা পৃথিবীর চেয়ে অনেক বেশি প্রশস্ত।
আপনার মতামত লিখুন :