ইসমাঈল আযহার: [২] দারুল উলুম করাচিতে মাহে রমজান বিষয়ক সেমিনারে বক্তব্য দিতে গিয়ে মুফতি তাকি উসমানি বলেন, রমজান শুধু তারাবি আর রোজা রাখার মাঝে যেন সীমাবদ্ধ না হয়। বরং রমজানে আরও দুটি কাজ গুরুত্বপূর্ণ, যেগুলো মেনে চললে মাসটি আমাদের জন্য সারাজীবনের খুশি আর আনন্দের মাধ্যম হতে পারে। পরকালে নাজাতের উসিলা হতে পারে।
[৩] সে দুটি কাজের মধ্যে একটি হচ্ছে, এ নিয়ত করা যে আমি পবিত্র মাসটি তে কোনেও ধরনের গুনাহ করবো না। সব ধরনের গুনাহ থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে রাখবো। এমন কোনো কাজও করবো না যেগুলো গুনাহের দিকে নিয়ে যায়।
[৪] রমজানে মানুষ আল্লাহর জন্যেই খাবার খাওয়া পানি পান করা ছেড়ে দেয়। খাবার পানীয় আমাদের জন্য হালাল ছিলো, আমরা সেগুলো আল্লাহর জন্য হারাম করে নিয়েছি। শুধু একমাত্র আল্লাহ তায়ালার জন্য। আবার এমন খাবার বা কাজ যেগুলো আগের থেকেই হারাম সেগুলো যদি আমরা না ছাড়ি তাহলেও এ রমজানে আমাদের সফলতা সম্ভব নয়।
[৫] যেমন কেউ গীবত করলো, অথবা মিথ্য বললো। সেগুলোও তার জন্য হারাম। আমরা রোজা রাখলাম ঠিকই, কিন্তু মিথ্যা ছাড়লাম না। গীবত ছাড়লাম না। তাহলে তো আমাদের তাকওয়া অর্জন হলো না।
[৬] এমনকি কোনো নারীর দিকে তাকালো যেটা তারজন্য হারাম। তাহলে কীভাবে রমজানে কীভাবে আমাদের তাকওয়া অর্জন হবে? কমপক্ষে আমরা সবাই এ ওয়াদা করতে পারি, এ রমজানে আমরা কোনও ধরেণের গুনাহ করবো না। কানে এমন কিছু শুনবো না যাতে গুনাহ হয়। মুখে এমন কিছু বলবো না যাতে গুনাহ হয়। হাতে এমন কিছু করবো না যাতে গুনাহ হয়।
[৭] আর সবচেয়ে বড় গুরুত্বের বিষয় হলো আমার মুখে যেন কোনও হারাম লোকমা না যায়, হারাম খাদ্য না যায়। এটা কেমন কথা, আমি সারাদিন আল্লাহর জন্য রোজা রাখলাম আর ইফতার করলাম হারাম খাবার দিয়ে। ধোকার টাকা দিয়ে, সুদের টাকা দিয়ে। তাহলে কিভাবে আমার রোজা আল্লাহর দরবারে কবুল হবে।
[৮] আল্লাহ আমাদের সবাইকে এ ইবাদতের মাসে বেশি বেশি ইবাদত করে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের তাওফিক দান করুন। আমিন।
সূত্র: স্যোশাল মিডিয়ায় প্রচারকৃত ভিডিও বার্তা থেকে অনুবাদকৃত
আপনার মতামত লিখুন :