ডেস্ক রিপোর্ট : [২] প্রায় দুই মাস ধরে গণধর্ষণ মামলার এক আসামিকে খুঁজে চলেছে ময়মনসিংহ পুলিশ। কিন্তু কোনোভাবেই ধরা যাচ্ছিলো তাকে। অবশেষে বালু শ্রমিক সেজে ওই আসামিকে ধরতে সক্ষম হয় নান্দাইল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা হাসিম উদ্দিন।
[৩] বুধবার গভীর রাতে ময়মনসিংহের নান্দাইলের মুশুল্লী ইউনিয়নের আগপাড়া গ্রামের শশুরবাড়ি থেকে আসামি সোহাগকে গ্রেপ্তার করা হয়।
[৪] পুলিশ জানায়, গত বছরের ১১ সেপ্টেম্বর গভীর রাতে এক কিশোরীকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে উপজেলার নান্দাইল রোড বাজার এলাকার পাঁচ দুর্বৃত্ত। এ ঘটনার পরদিন ওই কিশোরী বাদী হয়ে ওই পাঁচজনকে অভিযুক্ত করে নান্দাইল থানায় মামলা দায়ের করেন। পরে পুলিশ অভিযুক্তদের পরিচয় সন্ধান করে আলম মিয়া (২৫) নামে একজনকে আটক করলেও বাকিরা ছিল পলাতক। এ অবস্থায় আসামি ধরতে ব্যাপক তৎপরতা শুরু করেন নান্দাইল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) হাসিম উদ্দিন।
[৫] তিনি জানান, গোপনসূত্রে খবর আসে গণধর্ষণ মামলার আসামি সোহাগ মুশুল্লী ইউনিয়নের আগপাড়া গ্রামে শ্বশুরবাড়িতে একটি ঘরে বন্ধুদের নিয়ে তাস খেলছে। এ সময় তিনিসহ এসআই আব্দুল করিম, পিএসআই মিথুনসহ মো. শাহিনকে নিয়ে ভেতরে প্রবেশ করে ডাকতে থাকেন বাড়িতে কেউ আছে কি-না। এ সময় সোহাগ বেরিয়ে এসে জানতে চান চাইলে তিনি বলেন, আমরা বালু শ্রমিক। পাশের একটি পুকুর থেকে বালু তুলতে এসেছি। এ সব কথাবার্তায় টের পেয়ে সোহাগ দৌড় দিলে পুলিশ ধাওয়া করে তাকে আটক করে।
[৬] গ্রেপ্তারকৃত সোহাগ উপজেলার চন্ডীপাশাইউনিয়নের বারুই গ্রামের বাসিন্দা। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।বাংলা, ইত্তেফাক, প্রিয়ডটকম
আপনার মতামত লিখুন :