প্রিয়াংকা আচার্য্য : [২] মহামারী মোকাবেলায় আমাদের স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় অপ্রস্তুতি ছিল। রোগীদের কীভাবে চিকিৎসা দিবেন, ডাক্তারদের নিরাপত্তা নিশ্চয়তায় হবে কী করে, প্রযুক্তিকে কীভাবে কাজে লাগাবোসহ নানা ধরনের সিদ্ধান্তহীনতা ও সমন্বয়ের অভাব ছিল বলে চ্যানেল আইয়ের এক অনুষ্ঠানে জানালেন এই ব্যাংকার।
[৩] এই পরিস্থিতিতে সরকারের যে ধরনের রেসপন্স করার কথা ছিল তা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়নি। অর্থ্যাৎ আপদকালীন প্রস্তুতি হিসেবে রোগীদের চিকিৎসা সেবা নির্বিঘ্ন করা, যারা ক্ষতিগ্রস্ত হবে তাদের কীভাবে সহায়তা বা প্রণোদনা দিয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনা যায় তা নিশ্চিত করা।
[৪] সর্বোপরি এই সহায়তার মাধ্যমে কী করে আবার জনজীবনে কর্মচাঞ্চল্য সৃষ্টি হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখা।
[৫] পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের দিকে যদি আমরা তাকাই, তাহলে দেখবো দেশটির জনসংখ্যা আমাদের চেয়ে ৭/৮ গুন বেশি হলেও সেখানে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়নি। তারা প্রযুক্তির ব্যবহারের মাধ্যমে জনগণের গতিবিধি নিয়ন্ত্রণ করেছে। যেখানে জনসমাগম হওয়ার আশঙ্কা আছে সেখানে তারা ড্রোন ব্যবহার করে পরিস্থিতি সামাল দিয়েছে।
[৬] দেশটির কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে করোনা সংক্রমণের ওপর ভিত্তি করে বিভিন্ন জোনে ভাগের মাধ্যমে আলাদা করা হয়েছে। লক ডাউন শিথিল করতে এটি তাদের সাহায্য করছে।
[৭] আমাদের দেশে এখনও সেরকম কোন পদক্ষেপ নিতে আমরা দেখিনি। উপরন্তু সরকারের সুষ্ঠু সমন্বয়ের অভাবে তৃণমূল জনগোষ্ঠীর হাতে ত্রাণ এখনও পৌঁছায়নি।
[৮] দেশের ব্যবসায়ী, উদ্যোক্তা সমাজের কাছ থেকে এমন জটিল সময়ও আমরা দায়িত্বশীল কোন আচরণ দেখতে পাইনি। সঙ্কটের শুরুর দিকেই তারা সরকারকে চাপ দিতে থাকে। একদিকে আর্তপীড়িত জনগণ অন্যদিকে ব্যবসায়িক উচ্চ মহলের মধ্যে কো-অর্ডিনেশন আনতে সরকারকে বেগ পেতে হচ্ছে। সূত্র : চ্যানেল আই