নাঈমুল ইসলাম খান : [২] বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কাছে প্রাপ্য টাকা ভিক্ষার মত মিনতি করে চাচ্ছি।
[৩] চিঠি পাঠাচ্ছি, ইমেইল পাঠাচ্ছি, এসএমএস পাঠাচ্ছি আর টেলিফোন তো করছিই, অধিকাংশই জবাব দিচ্ছেন না, যারা জবাব দিচ্ছেন তারাও অপারগতা প্রকাশ করছেন।
[৪] এ লেখার মাধ্যমে সকলের কাছে মিনতি করি, একটু সদয় হয়ে, উদ্যোগী হয়ে বকেয়া পরিশোধের চেষ্টা করুন। আমাদের সহকর্মীদের আর্থিক অবস্থা স্বাভাবিক করতে সাহায্য করুন।
[৫] এবারের বেতনের মাহাত্ম্য অনেক বেশি। ২৪ বা ২৫ মে ঈদুল ফিতর, এর আগে ঈদ বোনাস দেবার কোন সম্ভাবনা দেখছি না, অন্তত ২০ তারিখের মধ্যে এপ্রিলের বেতনটাও যদি দেওয়া না যায়, এ অপরাধ হবে অমার্জনীয়। এ অপরাধে অপরাধী হবেন আপনিও।
[৬] প্রতিষ্ঠান যদি বিজ্ঞাপন না পায়, বিজ্ঞাপনের বকেয়া বিল আদায় করতে না পারে, বোনাস বা বেতন হবে কোথা থেকে?
[৭] মার্চ ২০২০ পর্যন্ত আমাদের পত্রিকাগুলোর অগ্রগতি, সবার মিলিত প্রচেষ্টায়, ছিলো অসামান্য। সার্কুলেশন হয়েছিলো আশাতীত, বিজ্ঞাপন পেয়েছি সন্তোষজনক, ফলে প্রতিষ্ঠান ছিলো লোকসানমুক্ত, এটা মার্চ মাসের কথা।
[৮] কিন্তু এর মধ্যেই হঠাৎ ছন্দপতন, ভয়াবহ মহামারী। আমাদের যখন সাফল্যের উৎসবে মেতে ওঠার কথা, ঠিক তখন মার্চ মাসের শেষ থেকেই, সার্কুলেশন বিপর্যস্ত, বিজ্ঞাপনের আয়ে চরম ধস, বকেয়া বিল আদায় নেই বললেই চলে।
[৯] এমতাবস্থায় এ লোকসান মুক্ত পরিস্থিতিটা সবই কেতাবে আছে, গোয়ালে নেই। হিসাব বিভাগের খাতায় কোটি কোটি টাকা অনেক পুরনো বকেয়া প্রাপ্য দেখানো আছে, নগদ প্রাপ্ত টাকা নেই। We are asset rich, cash poor. আমাদেরকে উদ্ধার করুন। অনুলিখন : আব্দুল্লাহ মামুন, সম্পাদনা : সালেহ্ বিপ্লব