প্রিয়াংকা আচার্য্য : [২] এই অর্থে ছিলাম না যে, অনেক আগেই সরকার প্রণোদনা ঘোষণা করেছে। কারণ যখন এই প্রণোদনা আসে তখন ইতিমধ্যে অনেত ব্যবসা প্রতিষ্ঠান নিজের পায়ে দাঁড়িয়ে চলা বন্ধ হয়ে গেছিলো। ঐ সময়ে শ্রমিকদের বেতন সরকারই দিয়েছিল। এই অবস্থায় শিল্পোৎপাদনে না গেলে দুর্বলতা আরও বাড়বে বলে প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক বিষয়ক উপদেষ্টা একাত্তর টিভির এক অনুষ্ঠানে জানান।
[৩] স্বাস্থ্যের যে ঝুঁকি সেটা তো এই মুহূর্তের জন্য। এর জন্য বৈজ্ঞানিক যে ব্যবস্থা আছে সেগুলো গ্রহণ করতে হবে। অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড এতোগুলো দিন ধরে স্থগিত রাখা হয়ে আছে। সেটা যদি আরও চলে, তাহলে তা পূর্বের স্থানে নিয়ে যাওয়া বেশ কঠিন হবে।
[৪] সেই কথা বিবেচনা করে সরকার ব্যাংকে নগদ অর্থের ঘাটতি মেটানাের ব্যবস্থা করেছে। সেইসব অর্থ ব্যাংকের মাধ্যমেই ডিস্ট্রিবিউশন করার বিষয়টিও নিশ্চিত করেছে।
[৫] পাশাপাশি সুদের হার কমিয়ে, সুদের অর্ধেক দায়িত্বও নিয়েছে সরকার। যাতে ব্যাংকে যে মুনাফা হয় সেটা থাকে।
[৬] এখন দরকার হবে, যে ক্লায়েন্ট এই টাকা নিবে সে যেন তা সুষ্ঠুভাবে ব্যবহার করে উৎপাদনের ধারা যথাযথভাবে অব্যাহত রাখে।
[৭] ইতিমধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক ৭০ হাজার কোটি টাকা ছাপানোর ঘোষণা দিয়েছে। সমসাময়িক প্রেক্ষাপটে মোটামুটি সবাই এ কথা স্বীকার করেছেন যে এর দরকার আছে। এখন এই টাকা সুষ্ঠুভাবে সমন্বয়ের মাধ্যমে বন্টন জরুরী।
[৮] বর্তমান পরিস্থিতি আমাদের অভিজ্ঞতার বাইরে। সেখানে হয়তো কিছু ঘাটতি থাকতে পারে। যারা এই পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করছেন তাদের প্রতি অনুরোধ ঘাটতির সঙ্গে সঙ্গে এই প্রতিষ্ঠানগুলো কীভাবে সেই দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করতে পারে সেগুলো সম্পর্কেও পরামর্শ দিবেন। সূত্র : একাত্তর টিভি
আপনার মতামত লিখুন :