লিহান লিমা: [২] জোত্যিবিজ্ঞানীরা বলছেন, পৃথিবী থেকে এই ব্ল্যাক হোলের দুরুত্ব মাত্র ১ লক্ষ আলোকবর্ষ। এটি এইচআর৬৮১৯ সৌরমণ্ডলে অবস্থিত। এর আগে পৃথিবীর সবচেয়ে কাছের আবিষ্কৃত ব্ল্যাক হোলটি ছিল ৩২০০ আলোকবর্ষ দূরে। দ্য গার্ডিয়ান, সিএনএন, ন্যাশনাল জিওগ্রাফি
[৩]বুধবার ইউরোপিয়ান সাদার্ন অবজারভেটারির বিজ্ঞানী থোমাস রিভিনিয়াস একটি গবেষণা পত্রে এটি দাবি করেছেন। চিলিতে একটি টেলিস্কোপ ব্যবহার করে তাঁরা দেখেছেন, সূর্যের থেকে ৪ গুণ বড় একটি নক্ষত্রকে একটি অজানা কালো বিন্দু ক্রমশ নিজের দিকে টেনে নিচ্ছে। যা ব্ল্যাক হোল ছাড়া আর কিছু হতে পারে না। আবিষ্কারকদের মধ্যে একজন পিটার হার্দ্রাভা বলেন, ‘আমরা যখন এটি প্রথম আবিষ্কার করি, আমরা অবাক হয়ে গিয়েছিলাম। এটাই প্রথম ব্ল্যাক হোল যার পাশের নক্ষত্রগুলো খালি চোখে দেখা যায়।’
[৪]ব্ল্যাক হোলের আকর্ষণ ক্ষমতা এতই বেশি যে যেখানে কোনো কিছু প্রবেশ করলে আর ফিরে আসে না। এমনকি আলোও এই গহ্বরকে অতিক্রম করতে পারে না। সে কারণে প্রতিফলিত রশ্মির সাহায্যে এটিকে দেখতে পাই না আমরা। মহাকাশে তাই এই ব্ল্যাক হোলটি খুঁজে বের করা একান্ত অসম্ভব।
[৫]বিজ্ঞানীরা এটিকে খুঁজে বের করতে পেরেছেন কারণ, এটির চারিদিকে তিনটি নক্ষত্র বা তারা মিটমিট করছে, বিজ্ঞানীরা বলছেন, ‘নৃত্যরত তারা।’ এদের গতিবিধি অনেকটা ব্যালে ডান্সের মতো।
[৬]নতুন আবিষ্কৃত এই ব্ল্যাক হোলটি অনেকটাই শান্ত ও বহুপ্রাচীন। তার আশেপাশের নক্ষত্রগুলোকে এখনো গ্রাস করেটি এটি। ব্ল্যাকহোলের মধ্যস্থানে এত সব ভারী বস্তু আছে যে এসবের কারণে তীব্র মহাকর্ষীয় শক্তি উৎপন্ন হয়। ব্ল্যাকহোলের পেছনে ‘ইভেন্ট হরাইজন’ নামের একটি স্থান আছে, যাকে বলা হয় ‘পয়েন্ট অব নো রিটার্ন’। এই জায়গায় মহাকর্ষীয় শক্তি এতটাই তীব্র যে এখান থেকে কোনো কিছুই আর ফিরে আসতে পারে না।
আপনার মতামত লিখুন :