আনিসুর রহমান তপন : [২] শ্রমিকলীগের প্রখ্যাত শ্রমিক নেতা শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার এমপি'র ১৬ তম মৃত্যু বার্ষিকী ৭ মে বৃহস্পতিবার। মরহুমের মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত সকল আনুষ্ঠানিকতা করোনার কারণে স্হগিত করা হয়েছে।
[৩] শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার এমপি'র পুত্র যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল এমপি জানিয়েছেন, আমার পিতা শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার এমপি'র শাহাদাত বার্ষিকীর সকল ধরনের আনুষ্ঠানিকতা করোনা ভাইরাসের কারনে স্থগিত করা হয়েছে । আমি সকলকে
কবরস্থানে না এসে বাসায় থেকে আমার পিতার জন্য দোয়া করতে বিনীত অনুরোধ করছি।
[৪] তবে টঙ্গী-গাজীপুর-২ আসনের সর্বত্র সকাল থেকে দিনব্যাপী দুস্থ-গরিব-দুঃখী ও করোনায় ক্ষতিগ্রস্থদের মাঝে খাদ্য সহায়তার উপহার সামগ্রীর প্যাকেট বিতরণ করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। খাদ্য সহায়তা উপহার সামগ্রীর ১০ কেজি প্যাকেটের মধ্যে রয়েছে, চাল, ডাল, আলু, তেল, পেয়াজ ও সাবান।
[৫] প্রায় ১০ হাজার পরিবারের মাঝে এসব খাদ্য সামগ্রী আওয়ামীলীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনের মাধ্যমে সামাজিক দুরত্ব নিশ্চিত পূর্বক পৌঁছে দেয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়া সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে গ্রামের বাড়ি হায়দ্রাবাদে মরহুমের মাজার প্রাঙ্গনে ৭ জন কোরানে হাফেজের সমন্বয়ে শুধু কোরানখানি ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে।
[৬] প্রতিমন্ত্রী করোনা সময়ে মরহুমের মাজার প্রাঙ্গনে না এসে দেশবাসীকে তাঁর পিতার জন্য ঘরে বসে দোয়া করার আবেদন জানিয়েছেন।
উল্লেখ করা যেতে পারে, ২০০৪ সালের ৭ মে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে একদল চিহ্নিত সন্ত্রাসী নোয়াগাঁও স্কুল মাঠে জনসভা চলাকালে জুমা আজানের ঠিক পূর্ব মূহুর্তে প্রকাশ্যে দিবালোকে চলতি সংসদ সদস্য আহসান উল্লাহ মাস্টার এমপিকে গুলি করে হত্যা করে। এই হত্যা মামলার রায়ে ২০০৫ সালের ১৬ মে ২২ জনের ফাঁসি ও ৬ জনের যাবজ্জীবন কারাদন্ড দেয়া হয়।
[৭] ২০১৬ সালের ১৫ জুন হাইকোর্ট ডিভিশন আসামীদের ডেথ রেফারেন্স, জেল আপীল ও আবেদনের শুনানী শেষে ৬ জনের মৃত্যুদন্ড এবং ৮ জনের যাবজ্জীবন কারাদন্ড বহাল রেখে ১১ জনকে খালাস দেয় আদালত। বিচার চলাকালে ২ আসামীর মৃত্যু হওয়ায় তাদের আপীল নিষ্পত্তি করে দেয়া হয়। যাবজ্জীবন দন্ডপ্রাপ্ত এক পলাতক আসামীর কোন আপিল না থাকায় তার পূর্বের রায়ই বহাল রাখা হয়।
[৮] আহসান উল্লাহ মাস্টার এমপি টঙ্গী-গাজীপুর-২ আসন থেকে ১৯৯৬ ও ২০০১ সালে দুইবার সংসদ সদস্য, ১৯৯০ সালে গাজীপুর সদর উপজেলা চেয়ারম্যান এবং ১৯৮৩ ও ১৯৮৭ সালে দু’দফা পূবাইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। তিনি আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটির সদস্য, শিক্ষক সমিতিসহ বিভিন্ন সমাজ সেবামূলক জাতীয় ও আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনের সাথে জড়িত ছিলেন। মরহুম আহসান উল্লাহ মাস্টার এমপি শ্রমিক লীগের কার্যকরী সভাপতি ও সাধারণ সস্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
আপনার মতামত লিখুন :