লিহান লিমা: [২] নতুন এক গবেষণা প্রতিবেদনে দেখা গিয়েছে, বাহিরের বাতাসের চেয়ে গ্যাসের চুলা ঘরের পরিবেশকে ২ থেকে ৫ গুণ বেশি দূষিত করে। তবে এই ঝুঁকি সত্ত্বেও নির্ধারকগণ ঘরের বাতাসের মানের পরিমাণ নির্ণয় করতে ব্যর্থ হয়েছেন। দ্য গার্ডিয়ান
[৩] যুক্তরাষ্ট্রের এক তৃতীয়াংশ বাড়িতেই গ্যাস দিয়ে রান্না করা হয়, যা নাইট্রোজেন ডাই-অক্সাইড ও কার্বন ডাই-অক্সাইড নির্গমন করে। পুরোনো ও কম মানসম্পন্ন চুলা আরো বেশি কার্বন মনোক্সাইড নির্গমন করে।
[৪] ঘরে গ্যাসের চুলার দ্বারা নিগর্ত এই নাইট্রোজেন ডাই-অক্সাইড শিশুদের অ্যাজমার ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। এক বিশ্লেষণে দেখা গিয়েছে, যে সব শিশুদের ঘরে গ্যাসের চুলা রয়েছে তাদের অ্যাজমার লক্ষণ দেখা দেয়ার সম্ভাবনা ৪২ শতাংশ বেশি। অস্ট্রেলিয়ায় ১২.৩ শতাংশ শিশুরই গ্যাসের চুলার কারণে অ্যাজমার সমস্যায় ভুগে।
[৫] এছাড়া হৃদরোগ সংক্রান্ত যে কোনো সমস্যা ও ডায়াবেটিস এবং ক্যান্সারের জন্য দায়ী নাইট্রোজেন ডাই অক্সাইড। কার্বন মনোক্সাইডের বিষক্রিয়া মাথাব্যাথা, বমি বমি ভাব, হৃদস্পদন বাড়িয়ে দেয়া, কার্ডিয়াক এরেস্ট ও মৃত্যুর কারণ।
[৬] এই প্রতিবেদনে বলা হয়, এটি থেকে মুক্তির একমাত্র উপায় গ্যাসের চুলা ব্যবহার না করে বৈদুত্যিক চুলা ব্যবহার করা। সেই সঙ্গে গ্যাসের চুলা ব্যবহারকারীদের ব্যবহারের সময় জানালা খোলা রাখা, ব্যাক বার্নারে রান্না করা, এক্সহাস্ট হুড ব্যবহার করা, এইচইপিএ ফিল্টার যুক্ত এয়ার পিউরিফায়ার ব্যবহার করা ও কার্বন মনোক্সাইড শনাক্তকরণ ডিক্টেটর ইনস্টল করার পরামর্শ দেন তারা।
[৭] রকি মাউন্টেন ইন্টস্টিটিউট ও কয়েকটি বৈজ্ঞানিক এডভোকেসি গ্রুপ জানায়, কয়েক দশকের বৈজ্ঞানিক পর্যালোচনায় দেখা গিয়েছে, গ্যাসের চুলার জ্বালানো জীবাশ্ম জ্বালানি লাখ লাখ আমেরিকানের করা দূষণের সমপরিমাণ যদি না এটি বাহিরে করা হতো। গবেষণার প্রধান লেখক ব্র্যাডি সিলস বলেন, দীর্ঘমেয়াদী সমস্যা সৃষ্টি করা সত্ত্বেও এই সমস্যাকে কম অগ্রাধিকার দেয়া হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :