কামাল হোসেন : [২] এ ছাড়া মঙ্গলবার বিকালে গোয়ালন্দ ঘাট থানায় অবৈধ ড্রেজিং ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে এক বাকপ্রতিবন্ধী ক্ষতিগ্রস্থের স্ত্রী।
[৩] গত রোববার (৩ মে) সংবাদমাধ্যমে “গোয়ালন্দে অবৈধ ড্রেজিংয়ে মাটি উত্তোলনের মহোৎসব, উপজেলা প্রশাসন বলছে কোথাও কোনো ড্রেজিং মেশিন চলছে না ” শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়। বিষয়টি নিয়ে প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায় ও স্থানীয়দের মাঝে ব্যাপক তোলপার সৃষ্টি হয়। এরপর সোমবার ও মঙ্গলবার স্থানীয় প্রশাসন মরা পদ্মা নদীর দৌলতদিয়া ক্যানাল ঘাট থেকে উজানচর কামারডাঙ্গী পর্যন্ত প্রায় ২০ কিলোমিটার এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৩০ টি ড্রেজার মেশিন সহ অন্যান্য যন্ত্রাংশ ধ্বংস এবং জব্দ করে।
[৪] এদিকে মঙ্গলবার বিকালে অবৈধ ড্রেজিং চক্রের মধ্যে ৮জনের নাম উল্লেখ করে গোয়ালন্দ ঘাট থানায় মামলা দায়ের করেছেন ক্ষতিগ্রস্থ কৃষক বাকপ্রতিবন্ধী মো. মজিবর মন্ডলের স্ত্রী মোছা. নাছিমা বেগম। আসামীরা হলেন, সালাম (৪৫), সুমন (৪০), উম্বার কাজী (৬০), গিয়াস (৪০), কুদ্দুস মাঝি (৬০), সোরাপ (৬৫), সহিদ (৪৫), মো. রবিউল (৩০)সহ অজ্ঞাত ৪/৫ জন।
[৫] মামলায় তিনি অভিযোগ করেন দৌলতদিয়া ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের রবিউল্লাহ ব্যাপারী পাড়া এলাকায় নদীর তীরবর্তী তাদের অন্তত ৫বিঘা ফসলি জমি অবৈধ ড্রেজিংয়ের কারণে নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। এতে আমাদের অন্তত ১০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। আমরা এ নিয়ে তাদের বাঁধা দিতে আসলে ড্রেজার মালিক ও তাদের লোকজন আমাদেরকে প্রাণে মেরে ফেলাসহ নানা ধরনের ভয়ভীতি দেখায়।
[৬] এ প্রসঙ্গে গোয়ালন্দ ঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশিকুর রহমান জানান, নাছিমা বেগমদের জমি যে ড্রেজারের কারণে নদীতে বিলিন হয়েছে আমরা অভিযান চালিয়ে ইতিমধ্যে সেখানকার দুটি ড্রেজার জব্দ করেছি। এ ছাড়া এজাহার ভূক্ত আসামীদের দ্রæত আটক করে আইনের আওতায় আনা হবে।
[৭] গোয়ালন্দ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান,উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে অভিযান চালিয়ে বেশ কিছু ড্রেজার মেশিন ও পাইপ ধ্বংস করা হয়েছে। সম্পাদনা: জেরিন আহমেদ
আপনার মতামত লিখুন :