ইসমাঈল হুসাইন ইমু : [২] আইনি প্রক্রিয়ায় হাতকড়া পরানো হয়েছে বলেছেন যশোরের এসপি।
[৩] চিত্র সাংবাদিক কাজলকে পিঠমোড়া দিয়ে হাতকড়া পরানো অবস্থায় আদালতে নেয়ায় বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সমালোচনার ঝড় বইছে। তাকে দুর্ধর্ষ অপরাধীর মত যেভাবে হাতকড়া পরানো হয়েছে সেই ছবিও এখন ভাইরাল। এ নিয়ে সাংবাদিক নেতৃবৃন্দও নিন্দা জানিয়েছেন। পাশাপাশি অবিলম্বে কাজলের মুক্তি দাবি করেছেন তারা।
[৪] বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মোল্লা জালাল বলেন, কাজল অপরাধ করলে তার আইন অনুযায়ি বিচার হবে। তাকে যেভাবে হাতকড়া পরানো হয়েছে তা নিন্দনীয়। এতে সাংবাদিক সমাজের মধ্যে আতঙ্ক ও আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
[৫] বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের মহাসচিব শাবান মাহমুদ বলেন, কাজলের গ্রেপ্তার দেখানোর বিষয়টি বিস্ময়কর। স্বাধীন দেশের নাগরিক হয়েও তাকে কেনো অনুপ্রবেশকারি বলা হলো তা বোধগম্য নয়। তাকে কারাগারে রাখা মুক্ত মত প্রকাশের অন্তরায়।
[৬] তিনি সরকার প্রধানের কাছে অবিলম্বে কাজলের মুক্তি দাবি করে তার যদি কোনো অপরাধ থাকে তা প্রকাশের দাবি জানান। এছাড়া আইনি প্রক্রিয়ায় তাকে কারাগারে রাখা হলেও মর্যাদার সঙ্গে রাখতে হবে বলেন তিনি। না হলে সাংবাদিক সমাজ কাজলের মুক্তির দাবিতে আন্দোলনে নামতে বাধ্য হবে।
[৭] ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারন সম্পাদক সাজ্জাদ আলম খান তপু বলেন, ঘটনাটি নেক্কারজনক। এটা সাংবাদিকের উপর মনস্তাত্বিক চাপ। দ্রুত আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে কাজলের মুক্তি দাবি করে সুবিচার পাবার আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
[৮] ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের একাংশের সাধারন সম্পাদক মো. শহীদুল ইসলাম বলেন, ঢাকা থেকে অপহরণের পর কাজল কিভাবে বেনাপোল গেলো। এর রহস্য উদ্ঘাটন করা দরকার। এ ঘটনার নিন্দা জানানোর ভাষা নেই। পাশাপাশি কাজলের নিখোঁজ হওয়ারও রহস্য উদ্ঘাটন করা উচিত। তিনি অবিলম্বে কাজলের নি:শর্ত মুক্তির দাবি জানান।
[৯] এ বিষয়ে যশোর জেলার পুলিশ সুপার আশরাফ হোসেন বলেন, বিজিবি কাজলকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে। আর সে অবস্থায়ই তাকে আদালতে নেয়া হয়। আইনি প্রক্রিয়া অনুযায়ী তাকে হাতকড়া পরানো ও আদালতে নেয়া হয়েছে।
[১০] ঢাকা থেকে নিখোঁজের ৫৩ দিন পর গত শনিবার রাতে যশোরের বেনাপোলের ভারতীয় সীমান্ত সাদিপুর থেকে অনুপ্রবেশের দায়ে কাজলকে আটক করে বিজিবি। এ ঘটনায় অবৈধভাবে সীমান্ত পারাপার অভিযোগে বেনাপোল পোর্ট থানায় মামলা করে বিজিবি।
আপনার মতামত লিখুন :