এস এম সাব্বির : [২] গোপালগঞ্জ জেলার কোটালীপাড়ায় তরমুজ ও বাঙ্গি বাম্পার ফলন হলেও করোনা ভাইরাসের কারণে পুরো জেলা লকডাউন থাকায় পাইকাররা আসতে না পারায় উৎপাদিত ফসল বিক্রি করতে পারছেন না কেউই। ফলে জমিতেই তরমুজ ও বাঙ্গি নষ্ট হতে শুরু করেছে।
[৩] এবছর ৬৫০ হেক্টর জমিতে তরমুজ এবং বাঙ্গি আবাদ করে কোটালীপাড়ার চর পুকুরিয়া, বরুয়া, কালিগঞ্জ, নলুয়াসহ প্রায় ২৫ গ্রামের কয়েক হাজার চাষি। জমিতেই ফসল নষ্ট হওয়ার শঙ্কার পাশাপশি আর্থিক ক্ষতি ও ঋণ শোধ করার চিন্তায় পড়েছেন তারা।
[৪] প্রতিবছর স্থানীয় কালিগঞ্জ বাজারে প্রায় ২শ কোটি টাকার তরমুজ ও বাঙ্গি বিক্রি হয়ে থাকে। প্রতিদিন শতাধিক ট্রাক তরমুজ ভর্তি করে এখান থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে যায়। এ বছর আর সে চিত্রটি নেই। তরমুজ ও বাঙ্গির আবাদকে কেন্দ্র করে এখানকার বাজারে বসতো শতাধিক আড়ত। কিন্তু এ বছর দুই-একটি ছাড়া বাকি সব আড়ত বন্ধ।
[৫] চাষিরা জানান, করোনা ভাইরাস রোধে পুরো জেলা লকডাউন ঘোষণা করায় বাইরে থেকে পাইকাররা না আসার কারণে ফসল বিক্রি করা যাচ্ছে না। ফলে জমিতেই ফসল নষ্ট হওয়ার পাশাপশি আর্থিক ক্ষতি ও ঋণ শোধ করার চিন্তায় পড়েছেন তারা।
[৬] কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক অরবিন্দ কুমার রায় বলেন, কৃষকরা এবার ক্ষতি সম্মুখীন হচ্ছেন। তবে আশপাশের বাজারে তরমুজ ও বাঙ্গি বিক্রিসহ পাইকাররা যাতে আসতে পারেন সেই ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
[৭] জেলা প্রশাসক শাহিদা সুলতানা বলেন, তরমুজ বাজার নামে একটা অ্যাপস চালু করা হয়েছে। অনলাইনের মাধ্যমে কৃষকরা পাইকারদের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাদের তরমুজ ও বাঙ্গি বিক্রি করতে পারবেন। সম্পাদনা: ইস্রাফিল হাওলাদার
আপনার মতামত লিখুন :