তৌহিদুর রহমান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া: [২] ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কারাগারের এক চিকিৎসক করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এ ঘটনায় জেল সুপার ও ডেপুটি জেলারসহ কারাগারের ছয়জন কর্মকর্তা-কর্মচারী হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন।
[৩] কারা মহাপরিদর্শকের নির্দেশে রোববার (৩ মে) বিকেলে থেকে ওই ছয়জন নিজ নিজ বাসায় অবস্থান করছেন। করোনা পরীক্ষার জন্য তাদের নমুনা সংগ্রহ করা হচ্ছে। এছাড়াও সতর্কতা হিসেবে আক্রান্ত চিকিৎসকের সংস্পর্শে আসা চারজন কয়েদিকে আলাদা করে রাখা হয়েছে।
[৪] সোমবার (৪ মে) বেলা সোয়া ১১টার দিকে মুঠোফোনে জেল সুপার মো. ইকবাল হোসেন এসব তথ্য নিশ্চিত করেন। কোয়ারেন্টাইন শেষ না হওয়া পর্যন্ত বাসা থেকেই দাফতরিক কাজ করবেন ওই কর্মকর্তারা।
[৫] কারাগার সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে জেলা কারাগারে প্রায় সাড়ে ১৭শ হাজতি ও কয়েদি রয়েছেন। আক্রান্ত ওই চিকিৎসকই কারাগারের একমাত্র চিকিৎসক। সর্বশেষ গত ২ এপ্রিল তিনি কারাগারে যান। তখন কারাগারের হাসপাতালে চারজন কয়েদি ওই চিকিৎসকের সংস্পর্শে আসেন। এছাড়া জেল সুপারের কক্ষেও যান ওই চিকিৎসক। ওইদিন জেল সুপার ও ডেপুটি জেলার মো. রেজাউল করিমসহ ছয়জন কর্মকর্তা-কর্মচারী আক্রান্ত চিকিৎসকের সংস্পর্শে আসেন। পরবর্তীতে রোববার ওই চিকিৎসকের করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ আসার পর কারা মহাপরিদর্শকের নির্দেশে জেল সুপার ও ডেপুটি জেলারসহ ছয়জন কারাগারের ভেতরে যাওয়া থেকে বিরত রয়েছেন।
[৬] জেলা কারাগারের জেল সুপার মো. ইকবাল হোসেন বলেন, আক্রান্ত চিকিৎসক সরাসরি হাতে ধরে কোনো কয়েদিকে চিকিৎসা দেননি। তবে সতর্কতা হিসেবে ওই চিকিৎসকের সংস্পর্শে আসা চারজন কয়েদিকে আমরা আলাদা করে ফেলেছি। আমাদের ডেপুটি জেলারকে চিকিৎসা দিয়েছিলেন তিনি। সেজন্য আমরা ছয়জন কারাগার থেকে আলাদা হয়ে গেছি। আজকে থেকে আমরা কারাগারের অফিসে যাচ্ছি না। আইজি স্যার বলেছেন আমাদের ঘরে অবস্থান করার জন্য।
[৭] উল্লেখ্য, রোববার দুপুরে ওই চিকিৎসকের করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ে এসে পৌঁছায়। রিপোর্ট পজিটিভ আসায় বর্তমানে ওই চিকিৎসক নিজ বাড়িতে আইসোলেশনে রয়েছেন। সম্পাদনা: ইস্রাফিল হাওলাদার
আপনার মতামত লিখুন :