সুজন কৈরী : [২] করোনা পরিস্থিতিতে সৌদি প্রবাসী স্বামী লকডাউনে থাকায় টাকা পাঠাতে পারছিলেন না। জমানো টাকা প্রায় শেষ। ঘরে খাবার নেই। এতে বিপাকে পড়েন ২ বছরের ও ৬ মাসের দুইটি শিশু বাচ্চাসহ পরিবারের ৬ সদস্যকে নিয়ে বিপাকে পড়েন মুন্সীগঞ্জের টঙ্গীবাড়ীর আড়িয়ল ইউনিয়নে একজন গৃহিনী।
[৩] লোকলজ্জায় বিষয়টি কাউকে জানাতে পারছিলেন না। খাদ্য সংকট আর ক্ষুধার যন্ত্রণায় টিকতে না পেরে বাধ্য হয়ে শুক্রবার দুপুরে ৯৯৯ এ কল করে সংগ্রহ করেন টঙ্গীবাড়ী থানার ওসির মোবাইল নম্বর। পুরো বিষয়টি জানান ওসিকে। আর ফোন পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই থানার ওসি শাহ মো. আওলাদ হোসেন শিশু-খাদ্যসহ ১২ ধরনের খাদ্যদ্রব্য নিয়ে হাজির হন ওই গৃহিনীর বাড়িতে।
[৪] পুলিশ কর্মকর্তার এমন সহানুভূতিশীল আচরণের জন্য কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন উপকারভোগী পরিবারটি।
[৫] ওসি শাহ মো. আওলাদ হোসেন বলেন, ৯৯৯-এ কল দিয়ে সাধারণত মানুষ বিভিন্ন জরুরি সেবা পেয়ে থাকে। তবে খাদ্য সংকটে কেউ কল দিবে- তা ভাবিনি। ভদ্র মহিলার প্রবাসী স্বামী দেশে টাকা পাঠাতে না পারায় দুটি শিশু বাচ্চাসহ ৬ সদস্যকে নিয়ে খাদ্য সংকটে পড়েছে পরিবারটি। বিষয়টি জানতে পেরে মানবিক দায়িত্ববোধ থেকে তাদের বাড়িতে উপহারসামগ্রী পৌঁছে দিয়েছি।
আপনার মতামত লিখুন :