সমীরণ রায় : [২] বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শাহ আলম এক বিবৃতিতে নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে তারা বলেন, গত ৩০ এপ্রিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানীর কেন্দ্রে এ রকম এক সন্ত্রাসী হামলা খুবই ভয়াবহ ও নিন্দনীয় বিষয়। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন জাগে-মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কূটনৈতিক এলাকার মতো বিশেষ নিরাপত্তা অঞ্চলে একজন অস্ত্রধারী সরাসরি গাড়ি চালিয়ে এসে কীভাবে কিউবান দূতাবাসে গুলিবর্ষণ করতে পারে? সেখানে কর্তব্যরত মার্কিন নিরাপত্তারক্ষীরাই বা কী ভূমিকা নিলো? এসব ন্যায়সঙ্গত প্রশ্নের জবাব মার্কিন সরকারকে দিতে হবে। আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট দেশের সরকার সেদেশে অবস্থানরত কূটনীতিকদের জান-মালের নিরাপত্তা দিতে বাধ্য। কিউবান দূতাবাসে এই জঘন্য হামলার ঘটনা প্রমাণ করেছে যে, ট্রাম্প সরকার কূটনীতিকদের নিরাপত্তা দেয়ার ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক আইনগত বাধ্যবাধকতা পালন করতে ব্যর্থ হয়েছে।
[৩] তারা আরও বলেন, বিশ্বব্যাপী করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় সমাজতান্ত্রিক কিউবান সরকার পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে নিজেদের বিপ্লবী চিকিৎসকদল, স্বাস্থ্যকর্মী ও ঔষধ পাঠিয়ে যখন মুনাফানির্ভর পুঁজিবাদী স্বাস্থ্য ব্যবস্থার বিপরীতে মানবিক স্বাস্থ্য ব্যবস্থার এক বিরাট নজির স্থাপন করছে, তখন এই হামলা সারা বিশ্বের মানবতাকে আঘাত করেছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের চরম ডানপন্থী রাজনৈতিক গোষ্ঠী এবং তাদের বর্তমান মুখপাত্র ট্রাম্প প্রশাসন সমাজতান্ত্রিক কিউবা ও ভেনিজুয়েলার বিরুদ্ধে ধারাবাহিকভাবে জনমনে বিদ্বেষ ছড়িয়ে যাচ্ছে এবং রাষ্ট্রীয় প্রচারযন্ত্র ব্যবহার করে মিথ্যা প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে। এ হামলা তারই ধারাবাহিকতা।
[৪] তারা বলেন, অবিলম্বে হামলাকারীর সঠিক পরিচয় জনসমক্ষে প্রকাশের দাবি, একইসঙ্গে নেতৃবৃন্দ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থিত সব কূটনীতিকের নিরাপত্তা, রক্ষা এবং কিউবার ওপর থেকে অন্যায় অবরোধ তুলে নেয়ার জোর দাবি করছি।
[৫] শুক্রবার রাতে এক বিবৃতিতে তারা এসব কথা বলেন।
আপনার মতামত লিখুন :