যুগান্তর : [২] ফলো করার ১৮ দিনের মধ্যেই ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির টুইটার আনফলো করে দিয়েছে হোয়াইট হাউস। মহামারী করোনাকালেও বিশ্বব্যাপী আলোচিত বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে এটি।
[৩] বিশেষকরে বিষয়টি ভারতের গণমাধ্যম, সোশ্যাল মিডিয়া ও রাজনীতির মাঠকে সরগরম করে তুলেছে। এরইমধ্যে বুধবার নরেন্দ্র মোদির টুইটার অ্যাকাউন্ট আনফলো করার বিষয়ে ব্যাখ্যা দিয়েছে হোয়াইট হাউস।
[৪] হোয়াইট হাউসের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, হোয়াইট হাউজ সাধারণত মার্কিন সরকারের বড় বড় কর্মকর্তাদের অ্যাকাউন্ট ফলো করে। এর বাইরে অন্য কারও অ্যাকাউন্ট ফলো করে না। তবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট কোনো দেশ সফরে গেলে স্বল্প সময়ের জন্য সংশ্লিষ্ট দেশের রাষ্ট্রপ্রধান ও দেশটির শীর্ষ কর্তাদের অ্যাকাউন্টগুলো ফলো করা হয়। সফর প্রসঙ্গে আয়োজক দেশের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষায় ও রিটুইট করতে এসব অ্যাকাউন্ট ফলো করা হয়। পরে প্রয়োজন মিটে গেলে আবার আনফলো করে দেয়া হয় সেসব বিদেশি অ্যাকাউন্ট।
[৫] হোয়াইট হাউজ সেই নিয়মই পালন করেছে বলে জানান ওই মুখপাত্র।
[৬] তিনি আরও জানান, বর্তমানে হোয়াইট হাউস মাত্র ১৩ জনকে ফলো করছে যার মধ্যে কোন বিদেশি রাষ্ট্রনেতা নেই। আর হোয়াইট হাউসের টুইটার হ্যান্ডলের ফলোয়ার সংখ্যা দুই কোটি ২০ লাখের কিছু বেশি।
[৭] উল্লেখ্য, হোয়াইট হাউস সাধারণত অন্য কোনো দেশের রাষ্ট্রপ্রধানকে ফলো করে না। কিন্তু গত ১০ এপ্রিল থেকে কিছুটা নজিরবিহীনভাবেই নরেন্দ্র মোদির ব্যক্তিগত এবং প্রধানমন্ত্রীর অফিসের টুইটার হ্যান্ডল ফলো করে হোয়াইট হাউস।
[৮] প্রসঙ্গত, মার্কিনমুলুকে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ মারাত্মক হওয়ার পর ভারতের কাছে করোনার চিকিৎসায় ব্যবহৃত ম্যালেরিয়ার ওষুধ হাইড্রোক্সিক্লোরোকুইন চেয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
ভারত এই ওষুধ না দিলে ফল ভালো হবে না বলে হুশিয়ারিও দিয়েছিলেন ট্রাম্প। তার পর ভারত সেই ওষুধ আমেরিকায় পাঠিয়েছিল গত ৮ এপ্রিল।
[৯] ওষুধ পৌঁছাতেই ভারতবাসী এবং প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। আর তার দুদিন পর ভারতের রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ, মোদি, ভারতে মার্কিন দূতাবাস, যুক্তরাষ্ট্রে ভারতীয় দূতাবাস, ভারতের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় এবং ভারতের মার্কিন রাষ্ট্রদূতের অ্যাকাউন্ট আনফলো করে হোয়াইট হাউস।
সূত্র: এবিপি আনন্দ, নিউজ১৮, ইন্ডিয়া টুডে
আপনার মতামত লিখুন :