মাজহারুল ইসলাম : [২] ত্রিশালে অজ্ঞাত রোগে বেশ কয়েকটি খামারের লেয়ার মুরগি মারা যাচ্ছে। রোগ নির্ণয় করতে না পারায় গত এক মাস মুরগির মৃত্যু থামছে না। ত্রিশাল উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসের তথ্য মতে উপজেলায় প্রায় ৪’শ লেয়ার ও ৫’শতাধিক ব্রয়লার পোল্ট্রি ফার্ম রয়েছে। এরমধ্যে মোক্ষপুর, মঠবাড়ী ও সদর ইউনিয়ন এলাকার লেয়ার মুরগির খামারগুলোতে গত এক মাস যাবৎ এ অজ্ঞাত রোগ দেখা দিয়েছে।
[৩] নিজবাখাইল গ্রামের রূপসী বাংলা এগ্রো কমপ্লেক্সের মালিক মাওলানা ইব্রাহীম খলিল জানান, ২০০৯ সালে ২ হাজার লেয়ার মুরগি নিয়ে খামার শুরু করেন। সীমিত লাভ দিয়ে ব্যবসা ভালই চলছিলো। পরের বছর ফার্মের পরিধি বাড়িয়ে প্রায় সাড়ে ৪ হাজার লেয়ার মুরগির খামার করেন। এভাবে বাড়িয়ে বর্তমানে তার ফার্মে ৯ হাজারের বেশি লেয়ার মুরগি রয়েছে। চলতি মাসের প্রথম দিকে অজ্ঞাত রোগে তার খামারের প্রায় ৬ হাজার মুরগি মারা যায়।
[৪] একই সময়ের মধ্যে উপজেলার মঠবাড়ী ইউনিয়নের বাদামীয়া গ্রামের বাচ্চু মিয়ার ১হাজারের বেশি, সদর ইউনিয়নের চিকনা গ্রামের লিটন মিয়ার ১ হাজার, একই গ্রামের আ. মান্নানেরও ১ হাজারের বেশি, সদর ইউনিয়নের পাঁচপাড়া গ্রামের হাবিবুল্লাহর প্রায় ১৫’শ, মঠবাড়ী ইউনিয়নের অলহরি খারহর গ্রামের হারুনুর রশিদের ১৫’শ, একই গ্রামের মোফাজ্জল হোসেনের ১২’শ এবং সুরুজ মিয়ার ১ হাজারের বেশি লেয়ার মুরগি মারা যায়।
[৫] স্বাধীন পোল্ট্রি ফার্মের মালিক নজরুল ইসলাম ঢালী জানান, লকডাউনে মুরগি ও ডিমের বাজার মন্দ। খাদ্যেরও তীব্র সংকট। তার ওপর অজ্ঞাত ভাইরাসের হানায় আমরা ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত। ব্যাংক ও এনজিও থেকে লোন নিয়ে তারা এখন চরম বিপাকে পড়েছেন।
[৬] উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. হারুনুর রশিদ বলেন, ইব্রাহীম খলিল নামে এক খামারির কাছ থেকে মুরগি মারা যাওয়ার লক্ষণ শুনে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে বার্ডফ্লুতে আক্রান্ত হয়েছে। তবে ল্যাবে টেস্ট না করে নিশ্চিত করে বলা যাবে না। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাও গ্রহণ করা হচ্ছে। রাইজিংবিডি, জাগরণ
আপনার মতামত লিখুন :