বিডি প্রতিদিন : [২] পূর্ব লন্ডনের ডেগেনহ্যাম এলাকায় একটি দুষ্কৃতকারী চক্র কর্তৃক একজন বৃটিশ-বাংলাদেশির ঘর দখলের অপচেষ্টা চালানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে। করোনার কারণে খালি পড়ে থাকা ঘরের জানালার গ্লাস ভেঙ্গে ভেতরে ঢুকে দখলের অপচেষ্টা চালায়। তবে পুলিশি হস্তক্ষেপে তারা ঘর থেকে বেরিয়ে যেতে বাধ্য হয়।
[৩] ঘটনাটি ঘটেছে গত ২৬ এপ্রিল রবিবার বিকালে ডেগেনহ্যাম ইস্ট আন্ডারগ্রাউন্ড স্টেশনের নিকটস্থ রিড রোডে।
[৪] নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ঘরের মালিক জানান, তিন বেডরুমের ঘরটি একটি এস্টেট এজেন্টের অধীনে ভাড়া দেয়া ছিল। সম্প্রতি করোনাভাইরাসের কারণে ভাড়াটিয়া শূন্য হয়ে পড়ে ঘরটি। এমতাবস্থায় একদিন এস্টেট এজেন্টের ম্যানেজার এসে ঘরে ঢুকতে চান। কিন্তু তালা খোলার চেষ্টা করলে দেখেন চাবি কাজ করছে না। তখন তিনি ঘর মালিককে ফোন দিয়ে জানতে চান, তিনি কি তালা পরিবর্তন করেছেন?
[৫] ঘরের মালিক জানান, তিনি তালা পরিবর্তন করেননি। তখন সঙ্গে সঙ্গে ঘরের মালিকও ঘটনাস্থলে পৌঁছেন। তারা দেখতে পান ঘরের জানালার গ্লাস ভেঙ্গে কেউ ভেতরে ঢুকে সেখানে প্লাস্টিকের বোর্ড বসিয়ে দিয়েছে। এসময় ঘরের দরজায় করাঘাত করলেও কেউ খুলে দেয়নি। উপায়ন্তর না দেখে তারা ঘরের সস্মুখস্থ রোডে গাড়িতে বসে থাকেন।
[৬] দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষার পর হঠাৎ দেখতে পান ঘর থেকে একজন তরুণী ডাস্টবিন ব্যাগ ফেলার জন্য দরজা খুলে বেরিয়ে আসছে। সেই সুযোগে তারা সঙ্গে সঙ্গে ঘরটিতে প্রবেশ করেন। ঘরে ঢুকেই তারা লক্সলী মিত্থাল কোম্পানীর মাধ্যমে তালা বদল করে নিয়ে দুষ্কৃতকারীদের বের হয়ে যেতে বলেন। কিন্তু তারা মালিকের কথায় কর্ণপাত না করে নিজেদের বৈধ ভাড়াটিয়া বলে দাবি করে এবং একটি ভুয়া চুক্তিপত্র (টেন্যান্সি এগ্রিমেন্ট) দেখায়।
[৭] দুষ্কৃতকারীরা দাবি করে, তারা ২ হাজার পাউণ্ডের বিনিময়ে ঘরটি ভাড়া নিয়েছে। তাদেরকে কিছুতেই বের করে দিতে না পারায় অবশেষে ঘরের মালিক পুলিশে ফোন করেন। কিছুক্ষণের মধ্যে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে এবং দুষ্কৃতকারীরা বৈধ কাগজপত্র দেখাতে না পারায় তাদের বের হয়ে যেতে বাধ্য করে।
[৮] ল্যান্ডলর্ড আরও জানান, ঘর দখলকারী চক্রের তিন সদস্যের মধ্যে একজন পুরুষ ও দুই জন নারী ছিল। তাদের পেছনে বড় গ্যাং থাকতে পারে এবং এদের দেখতে রোমানিয়ান বলেই মনে হয়েছে।
[৯] এ ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর ডেগেনহ্যাম এলাকায় ঘর মালিকদের মধ্যে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা দেখা দিয়েছে। কারণ করোনাভাইরাসের কারণে বহু বাসায় এখন কোনো ভাড়াটিয়া নেই। ঘরগুলো খালি পড়ে আছে। এই সুযোগে দুষ্কৃতকারীরা চক্র ভেতরে ঢুকে ঘর দখল করার অপচেষ্টা চালাতে পারে।
আপনার মতামত লিখুন :