মো. আখতারুজ্জামান : [২] হাওড় অঞ্চলসহ দেশের অন্যান্য এলাকায় বোরো মৌসুমের ধান দ্রুত সংগ্রহে কৃষকদের কৃষি যন্ত্রাংশের চাহিদার কথা বিবেচনা করে কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশনের বগুড়া শিল্পনগরীতে কৃষি যন্ত্রপাতিসহ অন্যান্য হালকা প্রকৌশল পণ্য উৎপাদন অব্যাহত রয়েছে।
[৩] বিসিকের সূত্র জানা যায়, বগুড়া বিসিক শিল্পনগরীতে বিভিন্ন ধরনের ৪৫টি হালকা প্রকৌশল শিল্পকারখানা রয়েছে। করোনার প্রাদুর্ভাবজনিত পরিস্থিতিতে বিসিকের সার্বিক সহায়তা ও তত্ত্বাবধানে বর্তমানে এ শিল্প নগরীতে ৩৫টি শিল্প কারখানা চালু রয়েছে।
[৪] এখানে গড়ে দৈনিক ১ কোটি টাকার অধিক মূল্যমানের হালকা প্রকৌশল যন্ত্রপাতি উৎপাদিত হচ্ছে। এসব খুচরা যন্ত্রাংশ সমগ্র দেশের চাহিদা মিটিয়ে ভারত, নেপাল, ভুটানে রপ্তানি হয়ে থাকে।
[৫] বগুড়া বিসিক শিল্পনগরী কর্মকর্তা এ কে এম মাহফুজুর রহমান জানান, দেশের কৃষি যন্ত্রাংশের মোট চাহিদার প্রায় ৭০ শতাংশ পূরণ করে থাকে বগুড়া বিসিক শিল্পনগরী। কৃষিসহ বিভিন্ন খাতের প্রয়োজনের কথা বিবেচনা করে করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও কারখানাগুলোতে প্রতিদিন কৃষি যন্ত্রাংশ যেমন- সেন্টিফিউগাল পাম্প, পিস্টন, টিউবওয়েল, সিএনজি অটোরিক্সার ও জুটমিলের খুচরা যন্ত্রাংশ উৎপাদন অব্যাহত রয়েছে।
[৬] তিনি বলেন, বগুড়া বিসিক শিল্পনগরীর শিল্প প্রতিষ্ঠানসমূহ প্রতিবছর ভ্যাট ট্যাক্স বাবদ ১৬৩ কোটি টাকা রাজস্ব প্রদান করে থাকে। এ শিল্পনগরীতে প্রায় ১০ হাজার লোকের কর্মসংস্থান হয়েছে।
[৭] মাহফুজুর রহমান জানান, দেশের কৃষি কাজে ব্যবহৃত যন্ত্রাংশের চাহিদার কথা বিবেচনা করে বিসিকের সার্বিক সহযোগিতায় তার প্রতিষ্ঠানে দৈনিক ৩০০ জন শ্রমিক স্বাস্থ্যবিধি মেনে কাজ করে যাচ্ছেন। সারাদেশ হালকা প্রকৌশল যন্ত্রাংশের চাহিদার কথা বিবেচনা করে ১৯৬৪ সালে ১৪ দশমিক ৬০ একর জায়গা নিয়ে যাত্রা শুরু করে বগুড়া বিসিক শিল্পনগরী।
আপনার মতামত লিখুন :