রাশিদ রিয়াজ : [২] এক মাসেরও বেশি সময় করোনা লকডাউনে অনেকে ঘরে বসে কাজ করছেন। কিন্তু তারা হাপিয়ে উঠছেন কারণ মানুষ সামাজিক জীব। সামাজিক দূরত্ব তার সইছে না। সিএনএন
[৩] যুক্তরাষ্ট্রের লেখক বেন ফ্যানিং বলছেন অফিসে মুখোমুখি বসে কাজ করার যে অভিজ্ঞতা বিনিমনেয়র সুযোগ বা বৈঠকে তা অনেকটা মিলছে না ঘরে। বরং হঠাৎ করেই ঘরবন্দী হয়ে ওঠায় অনেক ঝুঁকি দেখা দিয়েছে। এর মধ্যে সীমিত সংযোগ একটি।
[৪] ঘরে বসে কাজ করার সময় চারপাশে আপনার ছেলেমেয়ে বা সঙ্গী কিংবা সঙ্গীনি ঘোরাফেরা করলেও অফিসের কলিগের অভাব সুস্পষ্ট হয়ে উঠছে। গবেষণা বলছে একধরনের নিঃসঙ্গতা এসে ভর করায় দক্ষতা কমছে।
[৫] ব্যবস্থাপকের অধ্যাপক সিগাল বারসাদির মতে যত নিঃসঙ্গ বোধ করবেন তা আপনার কাজের গতিকে তত কমিয়ে দেবে। বরং আপনার প্রতিষ্ঠানের কাছে আপনি কম প্রয়োজনীয় বলে মনে হবে।
[৬] গবেষকরা বলছেন একাকীত্ব সামাজিকভাবে আপনাকে অধিক সজাগ করে তোলে। সামাজিক দক্ষতাও হ্রাস করে।
[৭] অধ্যাপক হাকান ওজসেলিক বলেন নিঃসঙ্গতায় মানুষ ব্যক্তিগত তথ্য হয় বেশি অথবা কম প্রকাশ করতে পারে। তার কলিগদের কাছ থেকে দূরে থাকায় ধারাবাহিকভাবে তিনি কম প্রয়োজনীয় মনে হতে পারেন।
[৮] ঘরে বসে কাজ করায় পৃথকভাবে কলিগদের সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয় না। নিঃসঙ্গ ব্যক্তিরা নেতিবাচক বিষয়গুলো নিয়ে বেশি ভাবেন ও ইতিবাচক দিকগুলো উপেক্ষা করেন। চারপাশ সহজে অন্ধকারময় হয়ে ওঠে যা অন্য কারো সঙ্গে ব্যাখ্যার সুযোগ পাওয়া যায় না।
[৯] নিঃসঙ্গতা কোনো বৈশিষ্ট নয় এটি বরং সামাজিকভাবে মেলামেশার ক্ষুধা সৃষ্টি হয় যা পূরণ করা সম্ভব হয়ে ওঠে না।
আপনার মতামত লিখুন :