মনজুর এ অনিক: [২] বুধবার গভীর রাত সাড়ে ১১ টায় এসও মন্ডলপাড়ায় এ হামলার ঘটনাটি ঘটে। এসময় উত্তেজিত জনতা সন্ত্রাসী পানি আকতার ধাওয়া দিলে পুরো এলাকা জুড়ে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পরে সন্ত্রাসী পানি আক্তার মন্ডলপাড়ায় তার শ^শুর পুলিশিং কমিটির সভাপতি খাজা মাইনুদ্দীনের বাড়িতে আশ্রয় নেয়।
[৩] পুলিশ উত্তেজিত এলাকাবাসীকে বুঝিয়ে সন্ত্রাসী বাহিনীকে চলে যেতে সহযোগীতা করে। এদিকে ওয়ারেন্টভুক্ত মামলার আসামী হওয়া সত্ত্বেও পুলিশ তাকে গ্রেফতার না করায় হতবাক হয়েছে জনতা। তার পুলিশেল ভুমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে।
[৪] এলাকাবাবাসী জানায়,সন্ত্রাসী পানি আক্তার নাসিক প্যানেল মেয়র মতির ক্যাডার। পানি আক্তারের বিরোদ্ধে মারামরি,সন্ত্রাসী কর্মকান্ড, ইপিজেডের মালামলি পাচার,বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন এর অফিস ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। এসময় আগুনে পুড়ে যায় জাতীর পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও নারায়ণঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব একেএম শামীম ওসমানের ছবি।
[৫] ভাংচুরও অগ্নিসংযোগের ঘটনাসহ ৫/৬টি’র অধিক মামলা হয়েছে।এ পানি আক্তার দেশীয় অস্ত্র চাপাতি, রামদা, বগি, ক্ষুর, রড নিয়ে ডাকাতির করতে রাতে বাহিনী নিয়ে মন্ডলপাড়ায় বিভিন্ন বাড়িতে ও অফিসে হামলা করে। এসময় জনতা সংঘবদ্ধভাবে সন্ত্রাসীদের ধাওয়া করলে কিশোর গ্যাং লিডার দৌড়ে খাজার বাড়িতে আশ্রয় নেয়। উত্তেজিত সন্ত্রাসীকে ঘর থেকে বের করে দিতে বলে।
[৬] খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে উত্তেজিত জনতাকে বুঝিয়ে পানি আক্তারকে বের করে নিয়ে আসে। এদিকে ডাকাতি করতে আসা সন্ত্রাসী পানি আক্তার একটি ওয়ারেন্টভুক্তো মামলার আসামী হওয়া সত্ত্বেও পুলিশ তাকে গ্রেফতার না করায় হতবাক হয়েছে জনতা।
[৭] এদিকে এলাকাবাসী জানায়, সন্ত্রাসী আক্তার নাসিক প্যানেল মেয়র মতি ও আশরাফের শেল্টারে নিজেই একটি বাহিনী গড়ে তুলেছে। ওই বাহিনী দিন দিন বেপোয়ারা হয়ে উঠেছে। মতির লোক পরিচয়ে পানি আক্তার আইনের ধরা ছোঁয়ার বাইরে রয়ে যায়। তাদের অত্যাচারে এলাকাবাসী অতিষ্ঠ। এবিষেয় সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি হাজী কামরুল ফারুক জানান,জনতার উত্তেজনায় পুলিশ যাওয়ার আগেই পানি আক্তার পালিয়ে যায়। তাকে গ্রেফতার করার চেষ্টা চলছে। সম্পাদনা: জেরিন আহমেদ
আপনার মতামত লিখুন :