সাইদ রিপন : [২] সাশ্রয়ী, পরিবেশ বান্ধব ও নিরাপদ যোগাযোগ ব্যবস্থা হিসেবে নৌপথের সর্বোচ্চ ব্যবহারের লক্ষ্যে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন অবকাঠামোর উন্নয়ন, রক্ষণাবেক্ষণ, পরিচালন ও নিয়ন্ত্রণ করে আসছে। আধুনিক বন্দর ব্যবস্থাপনা, নিরাপদ ও নিরবিচ্ছন্ন নৌযান চলাচল নিশ্চিতকরণ, মানবসম্পদ উন্নয়ন এবং দক্ষ ও সাশ্রয়ী নৌপরিবহন সেবা দিচ্ছে।
[৩] বাংলাদেশ অভ্যান্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন ব্যবস্থার উন্নয়ণ, সংরক্ষণ, পরিচালন, নিরাপদ নৌযান চলাচল নিশ্চিত করে অভ্যন্তরীণ নৌবন্দরের উন্নয়ন, বিভিন্ন লঞ্চঘাটে পন্টুন ও ল্যান্ডিং সুবিধা বাড়াতে কাজ করছে।
[৪] বাংলাদেশ অর্থনৈতিক সমীক্ষা থেকে জানা গেছে, বর্তমান সরকার অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন ব্যবস্থার উন্নয়নের লক্ষ্যে ২০১৮-১৯ অর্থবছরের সংশোধিত বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে (আরএডিপি) বিআইডব্লিউটিএ’র মোট ২৩টি প্রকল্প অন্তুর্ভুক্ত করেছিল। গত অর্থবছরের আরএডিপিতে প্রকল্পগুলোর জন্য মোট বরাদ্দ ছিলো এক হাজার ৪০৫ কোটি ৩০ লাখ টাকা। এ প্রকল্পগুলোর অনুকূলে ফেব্রুয়ারি-২০১৯ পর্যন্ত ব্যয় হয়েছিলো ৪২০ কোটি ৭৯ লাখ টাকা।
[৫] অর্থনৈতিক সমীক্ষা অনুযায়ি, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে বিআইডব্লিউটিএ মোট রাজস্ব আয় করেছে ৫০০ কোটি ২৮ লাখ টাকা। যা ওই অর্থবছরে দপ্তরটির মোট ব্যয় হয়েছে ৫১৯ কোটি ৬১ লাখ টাকা, অর্থাৎ গত অর্থবছর বিআইডব্লিউটিএ’র লোকসান হয়েছে ১৯ কোটি ৩৩ লাখ টাকা। এর আগে ২০১৭-১৮ অর্থবছরে লোকসান হয়েছিল প্রায় ৬৪ কোটি টাকা। অর্থনৈতিক সমীক্ষায় দেখা গেছে, গত ৫ বছরে লোকসান ছাড়া লাভ করতে পারেনি সরকারি দপ্তরটি। সর্বশেষ ২০১৩-১৪ অর্থবছরে ৫৭ কোটি ৫৭ লাখ টাকা লাভ করেছিল বিআইডব্লিউটিএ।
আপনার মতামত লিখুন :