আসিফুজ্জামান পৃথিল: [২] উত্তর কোরিয় নেতা কিম জং উনের স্বাস্থ্য নিয়ে যখন তুমুল বিতর্ক চলছে, তখন আলোচনায় আসছে, তার স্থলে কে স্বল্প বা দীর্ঘমেয়াদের জন্য দায়িত্ব নিতে পারেন। এই বিষয়টি পরিস্কারভাবে জানতে ইতিহাসবীদ ও বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কথা বলেছে বিবিসি।
[৩] ১৯৪৮ সাল থেকে উত্তর কোরিয়া শাসন করে আসছেন কিম পরিবারের পুরুষরা। ছোটবেলা থেকেই উত্তর কোরিয়ার জনগণরা শিখে কিম পরিবারের চেয়ে মহান কিছু এই প্রথিবীতে নেই। স্কুলে যাবার আগেই, ‘আমি আমাদের নেতা কিম জং উনকে দেখতে চাই।’
[৪] ধারণা করা হয় কিম জং উনের তিন সন্তান, কিন্তু তাদের বয়স একেবারেই কম। সবচেয়ে বড়জনের বয়স দশ, আর একেবারে ছোটটির বয়স তিন বছর।
[৫] এরকম সম্ভাবনা হয়তো আছে যে এক ধরণের যৌথ নেতৃত্ব তার শূণ্যতা পূরণ করতে পারে, যেমনটি ঘটেছে ভিয়েতনামে। এই যৌথ নেতৃত্ব নিজেদের বৈধতা অর্জনের জন্য কমিউনিস্ট বিপ্লবের প্রতিষ্ঠাতাদের আদর্শ এবং নীতির দিকেই বেশি করে ঝুঁকবে।
[৬] যদি কিম জং-আন উত্তর কোরিয়ার ক্ষমতার দৃশ্যপট থেকে উধাও হয়ে যান তখন তার সম্ভাব্য উত্তরাধিকারী হিসেবে তিনজন ‘কিম’ দৃশ্যপটে আসতে পারেন। তবে পারিবারিক শাসন চালিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে তাদের তিনজনেরই কিছু সীমাবদ্ধতা আছে।
[৭] প্রথম আসে কিম ইয়ো-জং এর কথা। তিনি হচ্ছেন কিম জং উনের সবচেয়ে ছোট বোন। বলা হয়ে থাকে তিনি তার বাবার খুবই প্রিয় পাত্রী ছিলেন। তার রাজনীতির ব্যাপারে আগ্রহের কারণে খুবই অল্প বয়স থেকেই তিনি তার বাবা কিম জং-ইলের প্রিয়পাত্রী হয়ে ওঠেন।
[৮] দ্বিতীয় যে কিমের কথা শোনা যায় তার পুরো নাম কিম জং-চাওল। তাকে কখনোই রাজনীতি বা রাষ্ট্রক্ষমতার ব্যাপারে আগ্রহী বলে মনে হয়নি।
[৯] তৃতীয় যার কথা শোনা যাচ্ছে তিনি হচ্ছেন কিম পিয়ং-ইল। তিনি কিম জং-ইলের সৎ ভাই। কিম ইল-সাং মারা যাওয়ার পর কিম পিয়ং-ইল হবেন উত্তরাধিকারী, এটাই ছিল তার মায়ের ইচ্ছে। কিন্তু তার এই ইচ্ছে পূরণ হয়নি।
আপনার মতামত লিখুন :