মুসবা তিন্নি : [২] লকডাউনের ফলে পৃথিবীর পরিবেশ তার স্বাভাবিক অবস্থা ফিরে পেয়েছে এবং ওজোন স্তরের বৃহত্তম ফাটলটিও বন্ধ হয়ে গেছে।
[৩] বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, আর্কটিকের ওজোন স্তরের বৃহত্তম ফাটলটি বন্ধ হয়ে গেছে এ কথা সত্যি। তবে এর সঙ্গে লকডাউনের কোনও সম্পর্ক নেই! লকডাউনের ফলেই যে আর্কটিকের ওজোন স্তরের বৃহত্তম ক্ষত সেরে উঠেছে, উপযুক্ত প্রমাণ ছাড়া এ কথা বলার সময় এখনও আসেনি।
[৪] সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দাবি করা হচ্ছে যে, লকডাউনের কারণে পৃথিবীর প্রাকৃতিক পরিবেশের দ্রুত উন্নতি হচ্ছে। পরিবেশ বিজ্ঞানীরা নিশ্চিত করেছেন যে, আর্কটিক অঞ্চলের ওজোন স্তরের বৃহত্তম ফাটলটি বন্ধ হয়ে গিয়েছে। ওজোন স্তর সূর্য থেকে উদ্ভূত অতিবেগুনী রশ্মি শোষণ করে। এই রশ্মিগুলি ত্বকের ক্যান্সারের প্রধান কারণ হিসাবে বিবেচিত হয়। পরিবেশ বিজ্ঞানীরা দাবি করছেন যে, লকডাউনের কারণে পৃথিবী নিজেই তার অবস্থার পুনরুদ্ধার করছে এবং ওজোন স্তরটিও ক্ষত সারিয়ে স্বাভাবিক হচ্ছে।
[৫] বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, আর্কটিকের ওজোন স্তরের ক্ষত সারিয়ে স্বাভাবিক হয়ে ওঠার সঙ্গে লকডাউনের কোনও সম্পর্ক নেই! বিজ্ঞানীদের মতে এটি অস্বাভাবিক শক্তিশালী এবং দীর্ঘকালীন মেরু ঘূর্ণির ফলে সৃষ্ট। উচ্চতর বাযুর স্রোত মেরু অঞ্চলে শীতল বাতাস নিয়ে আসে। বায়ুর গুণগত মান পরিবর্তনের সঙ্গে এর কোনও যোগসূত্র নেই।
[৬] ২৩ এপ্রিল, ইউরোপীয় ইউনিয়নের কোপারনিকাস অ্যাটমোস্ফিয়ার মনিটরিং সার্ভিস (CAMS) ঘোষণা করেছে যে, আর্কটিকের উপরের বৃহত্তম ফাটলটি বন্ধ হয়ে গিয়েছে। মার্চ মাসে আর্কটিকের ওজোন স্তরের উপর গঠিত এই ফাটলটি সিএএমএস (CAMS) ক্রমাগত পর্যবেক্ষণ করছিল। সংস্থাটি পরিষ্কার করে দিয়েছে, লকডাউনের সঙ্গে এর কোনও যোগসূত্রই নেই। সিএএমএস (CAMS) জানিয়েছে যে, এই বছর মেরু ঘূর্ণন খুব শক্তিশালী এবং এর ভিতরের তাপমাত্রা অত্যন্ত শীতল। তাই এই অঞ্চলের জলবায়ুর পরিবর্তন খুব তাড়াতাড়ি হয়েছে। এর সঙ্গে ক’ দিনের লকডাউনের কোনও সম্পর্ক নেই।
আপনার মতামত লিখুন :