শরীফ শাওন : [২] বিজিএমইএ বলছে, এ পর্যন্ত ২৫ লাখ মোবাইল ব্যাংকিং একাউন্ট খোলা হয়েছে। কলকারখানা অধিদপ্তরে শ্রমিকদের তালিকা পাঠানো হয়েছে। তাই বেতন দেয়া নিয়ে কোন ধরনের অনিশ্চয়তা প্রকাশের সুযোগ নেই।
[৩] আরো জানায়, কারখানা মালিকরা শ্রমিকদের ফোন করে ঢাকামূখী করার বিষয়টি নির্ভরযোগ্য না। আরো বলেন, করোনা পরিস্থিতিতে তারা যেন ঢাকায় না ফেরেন, এ বিষয়ে সতর্ক করা হয়েছে।
[৪] শ্রম মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, শ্রমিকদের বেতনের বিষয়ে মন্ত্রণালয়ে কারখানা মালিকদের সঙ্গে এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে সিদ্ধান্ত হয়, যে সকল কর্মী কর্মস্থলে উপস্থিত রয়েছেন তারা এপ্রিলের পুরো বেতন পাবে।
[৫] বুধবার মালিকপক্ষের সংগঠনগুলোর সঙ্গে মন্ত্রণালয়ের আলোচনায় আরো সিদ্ধান্ত হয়, মে মাস পর্যন্ত কোন কারখানা ডে-অফ বা বন্ধ ঘোষণা করতে পারবে না। এবং এসময় কোন কর্মী ছাঁটাই হবে না।
[৬] এ জে আই গ্রুপ ইন্ডাষ্ট্রিয়াল পার্কের চেয়ারম্যান অনন্ত জলিল বলেন, সাবকন্ট্রাক্টের কিছু কারখানা এবং লাইসেন্স রিনিউ না থাকা কারখানাগুলোতে বেতন নিয়ে সমস্যা হচ্ছে। এর প্রভাব পড়ছে পুরো পোশাকখাতে।
[৭] অনন্ত জলিল বলেন, বাংলাদেশে ৬ হাজারের উপর কারখানা আছে। তার মধ্যে বেতন দেয়নি ১৮১টি কারখানা। অন্যান্য ব্যবসায় আরো সমস্যায় থাকলেও পোশাক খাতকে বেশি আলোচিত করা হয়। ৮৪ শতাংশ রেমিট্যান্স এই খাত থেকে আসে। এবং এ অর্থ দিয়ে বাংলাদেশের অর্থনিতির চাকা সচল থাকে।
আপনার মতামত লিখুন :